ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত-বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে লক্ষ্মীপুরে

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত-বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে লক্ষ্মীপুরে
MostPlay

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে লক্ষ্মীপুরে বেশ কয়েকটি এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে লক্ষ্মীপুরে গাছ পড়ে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে যাওয়ায় পুরো জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়ে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রামগতি-কমলনগর রায়পুর ও সদরের মজুচৌধুরী হাট উপকূলীয় এলাকার ঘরবাড়ি গুলোর। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কমলনগর মেঘনা তীরবর্তী নাসিরগঞ্জ এলাকায়। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে লক্ষ্মীপুরে বেশ কয়েকটি এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়ে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রামগতি-কমলনগর রায়পুর ও সদরের মজুচৌধুরী হাট উপকূলীয় এলাকার ঘরবাড়ি গুলোর। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কমলনগর মেঘনা তীরবর্তী নাসিরগঞ্জ এলাকায়। মেঘনায় জলোচ্ছ্বাসে পাঁচ থেকে ছয় ফুট পানি প্রবেশ করে প্রায় এক কিলোমিটার পাকা সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটছে গাড়িসহ সাধারণ মানুষের। সড়কের পাশের গাছ পড়ে স্থানীয় মসজিদ সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে।

এছাড়া গত তিনদিন থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। এতে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে লক্ষ্মীপুরে গাছ পড়ে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে যাওয়ায় পুরো জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। তীব্র ঝোড়ো হাওয়ার কারণে গতকাল সোমবার সকাল থেকেই জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকেও বিদ্যুৎ আসেনি। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দুই দিন সময় লাগতে পারে।

এ জন্য আজ সকাল থেকে পুরো জেলায় পল্লী বিদ্যুতের ১২০টি দল কাজ করছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গতকাল বিকেলের পর থেকে জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সেই সঙ্গে ছিল ঝোড়ো বাতাস। এতে বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়ে। গাছ পড়ে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ভেঙে পড়েছে অসংখ্য বিদ্যুতের খুঁটি। এভাবে টানা বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে আছেন জেলার বাসিন্দারা। কমলনগর উপজেলার বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, ‘সোমবার সকালে বিদ্যুৎ চলে গেছে, এখনো আসেনি। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎহীন থাকায় আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউসুফ ছৈয়াল ও রায়পুর উপজেলার চর বংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, গাছ উপড়ে পড়ে তাঁদের এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। খুঁটি ভেঙে গেছে অনেক জায়গায়। দুদিন বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন লোকজন। মুঠোফোনের চার্জও শেষ হয়ে যাচ্ছে।’ লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জাকির হোসেন বলেন, বিদ্যুতের লাইনে অসংখ্য গাছ পড়েছে। খুঁটি ভেঙে গেছে। তারও ছিঁড়ে গেছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি খুব খারাপ অবস্থা।

তিনি আরও বলেন, জেলায় পল্লী বিদ্যুতের ৫ লাখ ৩ হাজার গ্রাহক আছেন। এখন পর্যন্ত পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ১২০টি টিম কাজ করছে। পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে আগামী বুধবার পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে সন্ধ্যায় মধ্যে শহর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করা হবে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলি জমি ধানের খেত। পানির নিচে ডুবে গেছে কয়েক একর ধানের জমিসহ শীতকালীন সবজির খেত।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password