ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাতুয়াইলে তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ঢাকা-ভৈরব রুটে চলাচল করা তিশা পরিবহনের একটি বাসে দুপুর দেড়টার দিকে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। পাশের সান্টু ফিলিং স্টেশনের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে, তবে বাসটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এর আগে স্বদেশ পরিবহনের আরেকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেটিও পুড়ে যায়।
এ ছাড়া শ্রাবণ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিলেও সে আগুন কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আনে স্থানীয়রা। এ ছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীরা আরও কয়েকটি বাসে আগুন লাগানোর চেষ্টা করলেও পুলিশের বাধায় তা পারেনি। এর আগে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর মাতুয়াইলে পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। বিএনপি নেতাকর্মীরাও ইটপাটকেল ছোড়ে। সংঘর্ষের কারণে বিভিন্ন গন্তব্যে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর ব্যস্ত এ মহাসড়কে দুপুর ১টার পর যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। এ সময় মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও যুবদল নেতা সাগর প্রধানসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা পুলিশের শাফিউল ইসলাম নামে এক কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন