পুলিশ তার প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়েছে। কলকাতার বুর্জ খলিফা এখন বিতর্কের কেন্দ্রে। রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর এই পুজো ঘিরে একাধিক সমস্যা। যার জেরে বুধবার, অষ্টমীতে পুলিশ ব্যারিকেড লাগিয়ে প্যান্ডেলের প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়। পুলিশের দাবি, ভিড়ের কারণেই এ কাজ করতে হয়েছে তাদের। দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার আদলে কলকাতায় তৈরি হয়েছে বুর্জ খলিফা প্যান্ডেল। শ্রীভূমির এই মন্ত্রী সুজিত বসুর পুজো হিসেবে পরিচিত। প্রতিবারই তার পুজোয় কিছু না কিছু চমক থাকে। এবার তারা তৈরি করেছে চোখ ধাঁধানো বুর্জ খলিফা।
বিশাল প্যান্ডেলে লাগানো হয়েছিল শক্তিশালী লেজার আলো। বহু দূর থেকে যাতে ঝকঝক করতে থাকে প্যান্ডেলটি। আর তাতেই বিতর্কের সূত্রপাত। বনেদিবাড়ির পুজোর মধ্যে উত্তর কলকাতার রাজা নবকৃষ্ণ দেবের শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো খুবই বিখ্যাত। ফেলে আসা সময়ের অনেক ঘটনার সাক্ষী এই পুজো। শ্রীভূমি কলকাতা বিমানবন্দর থেকে খুব দূরে নয়। রাতের বিমানবন্দরে নামতে গিয়ে বেশ কয়েকজন পাইলট অভিযোগ করেন, বুর্জ খলিফার আলোয় তাদের সমস্যা হচ্ছে। বিমানবন্দর চিনতে পারছেন না তারা।
অভিযোগ সামনে আসার পর অবশ্য সুজিতের নির্দেশে প্যান্ডেলের শক্তিশালী লেজার আলো বন্ধ করে দেয়া হয়। আলো বন্ধ হয়েছে, কিন্তু মানুষের উৎসাহ কমেনি। করোনাবিধি না মেনে হাজার হাজার মানুষ ওই প্যান্ডেলের বাইরে লাইন দিতে শুরু করেন। পুজো শুরুর আগে থেকেই বুর্জ খলিফা নিয়ে মানুষের উন্মাদনা শুরু হয়। যার জেরে বিমানবন্দরে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। রাজ্য সরকার পুজো দেখার ক্ষেত্রে যে করোনাবিধি তৈরি করেছে, তা-ও মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
ফলে অষ্টমীতে ভিড় কমাতে প্যান্ডেলে ঢোকার প্রবেশপথও বন্ধ করে দেয়া হয়। গতবছর হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে পুজোর সময় কড়া করোনাবিধি আরোপ করা হয়েছিল। পুজো কমিটিগুলো তা মানতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু এবার নিয়ম অনেক শিথিল। আর তারই সুযোগে সমস্ত নিয়ম উপেক্ষা করে মানুষ নেমে পড়েছেন রাস্তায়। পুজো দেখতে। যার জেরে গত দুই দিনে কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, আরো দুই দিন এই পরিস্থিতি চললে, করোনা সংক্রমণ আরো অনেকটাই বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন