বলাইশিমুল ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবনের বেহাল দশা, এলাকাবাসীর মানববন্ধন

বলাইশিমুল  ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবনের বেহাল দশা, এলাকাবাসীর মানববন্ধন
MostPlay

"বর্তমান যুগ উন্নয়নের যুগ" প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের অন্যতম একটি লক্ষ্য গ্রাম হবে শহর। কিন্তু কিছু কিছু এলাকা এখনো উন্নয়ন বয়ে আসেনি। যেমন বলাই শিমুল ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের পাশে যে হসপিটাল, সরকারি ভবন থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট পর্যন্ত এখনো অযত্ন অবহেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় সৃষ্টি হচ্ছে।

এর একটি উদাহরণ হলো ৮ নং বলাই শিমুল ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন। চেয়ারম্যানদের কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যবহার না করায় সরকারি ভবনটি আজ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই নিয়ে ৫ মার্চ সকাল ১১ টায় ইউপি কমপ্লেক্সের সামনে দেলোয়ার হোসেন দিলুর নেতৃত্বে এ মানববন্ধন করেন বলাইশিমুলবাসী এ মানববন্ধনে তাদের দাবি চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ যেন তাদের সকল কার্যক্রম এই ভবন থেকেই পরিচালনা করেন এবং তথ্য কেন্দ্র ইউপি ভবনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করলে এলাকার সাধারণ মানুষ এর সুবিধা এখান থেকেই পেতো।

তারা আরো বলেন, বলাই শিমুল এলাকা হতে রেন্টিতলাবর্তমান চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান তার ব্যক্তিগত অফিসে যেতে হয়।এতে তাদের গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা ও সময় ব্যয় সে কারণে তারা মানববন্ধন অভিযোগ সহ মানববন্ধন করেন।চেয়ারম্যান ও সচিব ইউপি মেম্বারগণ সকলে এই ইউপির কার্যালয়ে পরিচালনা করলে বেঁচে যেতো সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে ভবন এবং জন সাধারণে ভোগান্তি । তাছাড়া সচিবকে ও ঠিকমতো চিননে না বলে ও জানায়।

এদিকে দেলোয়ার হোসেন দিলু বলেন, এই ইউনিয়ন কমপ্লেক্স টি ২০১২ সালে স্থাপিত হয়েছে ১০ বছরে ও চেয়ারম্যানরা ঠিকমতো ইউনিয়ন পরিষদে বসেনি, যার কারনে ইউনিয়নের ভবনটির বিভিন্ন জিনিসপত্র সহ ব্যবহারিত কক্ষ ও টয়লেটের বেহাল দশা। যদি চেয়ারম্যানগণ তাদের কার্যক্রম এ ভবন থেকে পরিচালনা করতো তাহলে এই ভবনের এমন বেহাল দশা হতো না।

এর জন্য দায়ী কে? সরকারি ভবন দিয়েছে ইউনিয়নের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য তাদের ব্যক্তিগত অফিসে কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য নয়। তারা জনপ্রতিনিধি হয়ে প্রত্যেক চেয়ারম্যানের নিজ এলাকায় ব্যক্তিগত অফিস করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে এতে করে হাতেগুনা কয়েকটি এলাকার উপকার হলেও উপকার হয় না আমাদের এ কয়েকটি এলাকা যার কারণে ইউনিয়ন পরিষদের নীতিমালা অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে এটাই আমাদের দাবি। বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ সে সুবিধা ও যদি পরিষদের না পায় তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে সেটাও তাদের ব্যক্তিগত অফিসে নিয়ে যায়।যার কারণে জনগণের হয়রানির শেষ থাকে না।

যেকোনো সময় গিয়েও পাওয়া যায় না। বর্তমান চেয়ারম্যানের ও তার নিজ এলাকার৷ রেন্টিতলা বাজারে অফিস করেছে।এলাকার জনগন আর-ও বলেন সেখানে যেতে প্রায় এক থেকে দেড়শত টাকা গুনতে হয় একজনের। এখানো যদি পরিষদে আসেন চেয়ারম্যান সাহেব যে কোন এলাকার জন্য ২০ থেকে ৩০ টাকা খরচ হতো। সময়ের কথা আর নাই বললাম।একটা মানুষ যখন কোন প্রয়োজনে তাকে না পায় তখন তাকে ফিরে আসতে হয় এতে করে জনগনের হয়রানি হয়, সময় অপচয় হয় এলাকার জনগণ।

আর বলেন এইটা কি ইউনিয়ন পরিষদ না গোডাউন না হসপিটাল নাকি ইস্কুল তা বোঝার কোন উপায় নেই। কোন পতাকা নেই বঙ্গবন্ধুর ছবি নেই এইটা যে ৮ নং বলাই শিমুল ইউনিয়ন পরিষদ তাও লিখা নেই। চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বলেন,আমার প্রথম চেয়ারম্যানী জীবনে এই ভবনটি হয়।তখন পরিষদে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেছি বর্তমানে আমি একজন ক্যান্সার রোগী যার কারণে প্রতিদিন যেতে পারি না, মাঝেমধ্যে যাই। কেননা ডাক্তার বলেছে একদম বিশ্রামে থাকার জন্য।

তবুও চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছি যেহেতু, তাই যতটুকু পারি দায়িত্ব পালন করে থাকি। যারা আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করছে তারা আমার চেয়ারম্যানের বিজয়ী কে মেনে নিতে না পারায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে আমাকে হেই প্রতিপন্ন করে যাচ্ছে। তবে আমি সপ্তাহে ২-৩ দিন ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে বসবো।

এদিকে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ অভিযোগের পরিপেক্ষিতে তদন্ত করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password