শহীদ দিবসে ফুল দেওয়া নিয়ে বিএনপি-ছাত্রলীগের সংঘর্ষ

শহীদ দিবসে ফুল দেওয়া নিয়ে বিএনপি-ছাত্রলীগের সংঘর্ষ
MostPlay

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ছাত্রলীগ ও বিএনপির নেতা–কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই পথচারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে সরকারি মাহাতাব উদ্দিন কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ছাত্রলীগের কর্মী ইরফান রাজাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ সকালে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীরা শহরের সরকারি মাহাতাব উদ্দিন কলেজের শহীদ মিনারে ফুল দিতে যান।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাঁরা কলেজে থেকে বের হওয়ার সময় সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিএনপির নেতা-কর্মীদের দাবি, তাঁরা ফুল দিয়ে ফেরার পথে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পেছন থেকে তাঁদের ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুই পথচারী, ছাত্রলীগের দুই কর্মী ও বিএনপির এক কর্মী আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এদিকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় সেখানে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছে। জানতে চাইলে কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম বলেন, ছাত্রলীগের ছেলেরা সেখানে এমনিতেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেখানে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অতর্কিতে তাঁদের ওপর হামলা করেন। বিএনপির নেতা-কর্মীরা পরিকল্পিতভাবেই সেখানে লাঠিসোঁটা নিয়ে এসেছিলেন।

ফিরে যাওয়ার সময় তাঁরা ছাত্রলীগের কর্মী ইরফান রাজাকে একা পেয়ে কুপিয়ে আহত করেন ও একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। তবে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কলেজের বাইরে বের হলে কলেজের ভেতর থেকে আমাদের লক্ষ্য করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। এ সময় আমাদের নেতা-কর্মীরা ঘুরে গিয়ে সেটাকে প্রতিহত করেন। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।

হামলার সময় তারা (ছাত্রলীগ) আমাদের ভয় দেখাতে সেখানে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।’ কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আরিফুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে ইরফান রাজা নামের এক ব্যক্তির শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রহমান মোল্লার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password