হাতুড়ে চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা নেওয়ার পর জীবন সংকটাপন্ন

হাতুড়ে চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা নেওয়ার পর জীবন সংকটাপন্ন
MostPlay

নরসিংদীর মনোহরদীতে হাতুড়ে চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা নেওয়ার পর জীবন সংকটাপন্ন অবস্থায় বাচ্চু মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তি। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন। বাচ্চু মিয়া পেশায় একজন গাড়িচালক। তিনি উপজেলার চালাকচর গ্রামের আবু সিদ্দিকের ছেলে। চালাকচর বাজারের নিউ অনন্যা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী নারায়ণ চন্দ্র মোদক ও তার সহযোগী মাসুম মিয়ার ভুল চিকিৎসায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ করেছে।

এ ঘটনায় ন্যায়বিচার চেয়ে মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী সেলিনা বেগম। সেলিনা বেগম জানান, তিন মাস আগে বাচ্চু মিয়ার পায়ে চুলকানি দেখা দেয়। পরে ওষুধ নিতে নিউ অনন্যা ফার্মেসিতে যান। সেখানে কথিত চিকিৎসক নারায়ণ চন্দ্র মোদকের পরামর্শে তার সহযোগী মাসুমকে দেখালে তিনি কিছু ওষুধ লিখে দেন। এতে প্রতিকার না পেলে এক সপ্তাহ পর পুনরায় সেখানে যান বাচ্চু।

কোনো পরীক্ষা ছাড়াই নারায়ণ চন্দ্র তার নিজস্ব ব্যবস্থাপত্রে নতুন করে ইনজেকশনসহ কিছু ওষুধ লিখে দেন। সেগুলো প্রয়োগের পর তার অবস্থার আরো অবনতি হতে থাকে। এক পর্যায়ে বাচ্চু মিয়ার শরীরের চামড়া পুড়তে থাকে। হাতের নখ, মাথার চুল ও লোম ঝরে পড়তে শুরু করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় স্বজনরা তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সহকারী অধ্যাপক এ টি এম আসাদুজ্জামান জানান, বাচ্চু মিয়া অপচিকিৎসার শিকার।

ভুল ওষুধ প্রয়োগ করায় তার শরীর ঝলসে গেছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত নারায়ণ চন্দ্র মোদকের সঙ্গে কথা বলতে তার ফার্মেসিতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ছেলের দাবি, ‘আমার বাবা এই চিকিৎসা দেননি। ’ মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হাসান মাহমুদ বলেন, এমনটি ঘটে থাকলে খুবই দুঃখজনক। তদন্ত করে দেখা হবে। মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম কাসেম বলেন, বিষয়টি অবশ্যই তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password