বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় 'রিমালের' আঘাতে কক্সবাজার থেকে সাতক্ষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মুহিববুর রহমান। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এর কেন্দ্রে ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। ফলে সাগর উত্তাল রয়েছে। কোথাও কোথাও হচ্ছে বৃষ্টিপাত। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। তবে বহির্নোঙরে লাইটারিং কার্যক্রম এখনো স্বাভাবিক।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবেলায় পটুয়াখালীতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার। শনিবার (২৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের দরবার হলে এক সভার আয়োজন করা হয়।

এ সভার সভাপতিত্ব করেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম। তিনি জানান, সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টারে তিন লাখ ৫১ হাজার ৫০০ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। সেইসঙ্গে সেখানে ৮৭ হাজার ৮৩৫টি গবাদি পশু রাখা যাবে। এ ছাড়া ৩৫টি মুজিব কিল্লায় ১২ হাজার ২৫০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।

তিনি আরো জানান, প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭৩০ টন চাল, ১০ লক্ষ টাকার শিশু খাদ্য, ১০ লক্ষ টাকার গো-খাদ্য। শুকনা খাবার রয়েছে এক হাজার ৫০০ প্যাকেট। নগদ রয়েছে ২৪ লাখ সাত হাজার ৫০০ টাকা। উপকূলের মানুষকে সচেতন ও দুর্যোগে উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য রেডক্রিসেন্ট ও সিপিপির নয় হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকাসহ বিদ্যুৎ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্বাস্থ্য বিভাগ, সড়ক বিভাগ, ফায়ার সার্ভিসকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম।

তিনি জানান, জেলায় মোট ৭৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে; যাদের সংরক্ষণে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যালাইন, ওষুধ ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট আছে। এক হাজার ৩০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে; এর মধ্যে অতিঝুকিতে রয়েছে দেড় কিলোমিটার। দুর্যোগের সময় কোথাও ভাঙন দেখা দিলে তা মেরামতের জন্য ১৬ হাজার জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।