পশ্চিমবঙ্গের একটি ভবনের বারান্দা থেকে ৫ তরুণীর আত্মহত্যার হুমকি

পশ্চিমবঙ্গের একটি  ভবনের বারান্দা থেকে ৫ তরুণীর আত্মহত্যার হুমকি

বহুতল ভবনের বারান্দায় হাতে হাত ধরে দাঁড়িয়ে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছিলেন পাঁচ তরুণী। চিৎকার করে বলছিলেন, বকেয়া টাকা না পেলে উপর থেকে রাস্তায় ঝাঁপ দেবেন তারা।অপরদিকে স্থানীয়রা তাদের দেখে ওই বিপজ্জক জায়গায় না দাঁড়িয়ে নেমে আসতে বলছেন। কিন্তু তরুণীরা কারো কথা না শুনে চিৎকার করে যাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা ও পুলিশ ছুটে এসে নিরস্ত করলেন তাদের।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত রোববার হুলস্থূল কাণ্ড ঘটে যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পার্ক স্ট্রিট এলাকায়। শেষ পর্যন্ত পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে সমস্যা মিটে।

জানা গেছে, বহুদিন ধরে বন্ধ থাকায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি নামী সার্কাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো। বেতন দিতে পারছিলেন না মালিক। তাই মালিকের বাড়ির পাঁচতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে আত্মহত্যার হুমকি সার্কাসের পাঁচ তরুণীর।

স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার স্যান্ডাল স্ট্রিটের একটি পাঁচতলা বাড়িতে থাকেন ওই নামী সার্কাসের মালিক। এর আগে সারা দেশজুড়ে ঘুরতো এই সার্কাস। প্রত্যেক বছর শীতকালে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আসত এই সার্কাস। বাঘ, সিংহ ও বিভিন্ন জন্তুজানোয়ারের খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে ওই সার্কাসেও ভিড় কম হতে থাকে। তবুও কোনোমতে চলছিল সার্কাসটি।

পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, সার্কাসের মালিক কর্মচারীদের বেতন দিচ্ছিলেন। কিন্তু গত বছর লকডাউনের পর থেকে সার্কাসের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। কোভিড পরিস্থিতিতে গত শীতেও বসেনি সার্কাস। সার্কাসের কলাকুশলীরা প্রায় বসেই কাটিয়েছিলেন। তার ফলে মালিক ও কর্মচারীদের আর্থিক অবস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকে। পুলিশকে ওই তরুণীরা জানান, তাদের বেতন বকেয়া ছিল। তারা টাকা চাইতে গেলে তাদের পুরো টাকা দেয়া হয়নি। তাদের চলে যেতে বলা হয়। এর পরই তারা বাড়ির একটি বারান্দায় চলে আসেন।

বারান্দায় হাতে হাত ধরে দাঁড়ান। চিৎকার করে বলতে থাকেন, তারা বেতন পাচ্ছেন না। তারা নিচে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিতে থাকেন।পাঁচ তরুণীকে ওভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আঁতকে ওঠেন এলাকার বাসিন্দারা। তারা তরুণীদের নেমে আসতে অনুরোধ করতে থাকেন। এর মধ্যেই এলাকার বাসিন্দারা পার্ক স্ট্রিট থানায় পুরো ঘটনাটি জানান।

কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকের অনুরোধে তারা ওই বিপজ্জনক জায়গাটি থেকে বেরিয়ে আসেন। পুলিশ কর্মকর্তারা সার্কাসের মালিকের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশের হস্তক্ষেপে সমস্যা মেটে। বকেয়া বেতন তরুণীদের হাতে তুলে দেয়া হয়। পরে তারা বাড়ি ফিরে গিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password