ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে মাদরাসা ছাত্রদের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মো. ফেরদৌস কবির।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহরে ৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তারা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত দায়িত্বপালন করবে। এদিকে সন্ধ্যার পর থেকে বিজিবি সদস্যদের জিপ জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে টহল দিতে দেখা গেছে।
এর আগে শুক্রবার বিকেল থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা ও জামিয়া সিরাজুল উলুম মাদরাসার ছাত্ররা বিক্ষোভ শুরু করে। বিকেল ৪টার দিকে মাদরাসাছাত্ররা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে অগ্নিসংযোগ করে।
এরপর রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তাদের দখলে নেয় তারা। বিক্ষুব্ধরা স্টেশনে একটি টিকিট কাউন্টার, কন্ট্রোল প্যানেল ও চেয়ার ভাঙচুর করে। এরপর তারা অগ্নিসংযোগ করে। রেললাইনের উপরে চেয়ার-টেবিলসহ স্টেশনের প্লাটফর্মে থাকা মালামালে আগুন দিয়ে রেল লাইনে ফেলে রাখে। রেলওয়ে ফাঁড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এই ঘটনায় বিকেল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে বিক্ষুব্ধ মাদরাসাছাত্ররা পুনিয়াউট রেল গেইট সংলগ্ন আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্টের অফিসে হামলা চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট সদন চাকমা জানান, এ সময় অফিসের একটি গোডাউনসহ ৬টি কক্ষে অগ্নিসংযোগ করে তারা। এতে অফিসের জরুরি কাগজপত্রসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এছাড়াও জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের একটি গ্যারেজেও অগ্নিসংযোগ করে মাদরাসাছাত্ররা। এতে গ্যারেজে থাকা তিনটি মাইক্রোবাস ও তিনটি মোটরসাইকেল পুড়ে যায়। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পাশের ২ নম্বর পুলিশ ফাঁড়িতেও হামলা করে বিক্ষুব্ধরা। বিক্ষুব্ধরা জেলা সিভিল সার্জনের অফিসেও হামলা করে। এ সময় সিভিল সার্জন অফিসের বারান্দায় থাকা হাসপাতালের মালামালে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন