ফেনীতে গবাদিপশুর খামারে শ্রমিকদের অস্ত্র ঠেকিয়ে ২৫ লাখ টাকা মূল্যের ১৩টি গরু লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জেলার ৫ হাজারের বেশি খামারির মধ্যে বিরাজ করছে উদ্বেগ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন খামারিরা। বলছেন পুলিশ চাইলে দ্রুত সময়ে লুট হওয়া গরু উদ্ধার করা সম্ভব।
ফেনীর দাগনভূঞাঁ উপজেলার রাজাপুর পূর্ব জয় নারায়ণপুর খান অ্যাগ্রো ফার্মে শুক্রবার (০৭ জুন) দিবাগত গভীর রাতে খামারে প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে শ্রমিকদের বেঁধে লুট করা হয় ২৫ লাখ টাকা মূল্যের ১৩টি শাহীওয়াল জাতের গরু।
খামার মালিক ও শ্রমকিরা জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে ১৮/২০ জনের একটি ডাকাতদল খামারের পেছনের টিন কেটে প্রবেশ করে খামারের ভেতরে থাকা শ্রমিকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে এক এক করে ১৩টি গরু গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। কিছু গরুকে দড়ি কেটে ছেড়ে দেয়।
খামার মালিক দাউদ খান বলেন, দুর্বৃত্তরা খামারের শ্রমিকদের মারধরও করেছে। খামারে মোট ২১টি গরু ছিল। লুট হওয়া গরুগুলো উন্নতমানের শাহীওয়াল জাতের। প্রতিটি গরুর ওজন ৬ মণের বেশি। প্রতিটির বাজার মূল্য রয়েছে দুই লাখের বেশি। খামারে ঢুকে এভাবে লুটের ঘটনায় উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে জেলার ৫ হাজারের বেশি খামারির মাঝে।
খামারিরা জানান, এলাকায় পুলিশের টহল আরও জোরদার থাকলে এমন ঘটনা ঠেকানো যেত। পুলিশ চাইলে লুট হওয়া গরুগুলো উদ্ধার করা সম্ভব। তবে পুলিশ বলছে, মাঠে সক্রিয় ছিল পুলিশ। ইতোমধ্যে ঘটনাটির বিষয়ে কাজ করছেন পুলিশ সদস্যরারা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) দীন মোহাম্মদ বলেন, পুলিশ ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে মাঠে কাজ করছে। অভিযান চালানো হচ্ছে। এক বছরে ফেনী জেলায় গরু চুরির ঘটনায় ২২টি মামলা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, চুরি হওয়া গবাদিপশুর সংখ্যা ৪৯টি। চলতি মৌসুমে ফেনীর ৫২২৫ জন খামারি তাদের খামারে ৯০ হাজার ২৫০টি পশু বাণিজ্যিক ও পারিবারিকভাবে পালন করেছেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন