লক্ষ্মীপুরে শ্রমিকবাহী পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে ঘটনাস্থলেই তিন জন নিহত হয়েছেন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে আরো একজন মারা যান। এ সময় আহত হন আরো ১০ জন। তাদের জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে পৌর শহরের মুক্তিগঞ্জ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার টুমচর গ্রামের সায়েদুল হক পাটোয়ারীর ছেলে রফিক, পৌর শহরের সমসেরাবাদ এলাকার নজির আহম্মদের ছেলে মফিজ উল্লাহ, আবির নগর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে খোরশেদ, আবদুল মন্নানের ছেলে আবদুর নুর।
আহতরা হলেন- আবদুল গফুরের ছেলে আবুল হোসেন, আবুল বাসার, দিদারের ছেলে ইয়াসিন, তসলিমের ছেলে রবিন, মজিবুল হকের ছেলে নজির, বাবুল, ও আজিজ উল্যার ছেলে সৈয়দ আহমেদ। তারা সবাই সদর উপজেলার আবিননগর গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী আবুল বাশার ও নিহতের স্বজনরা জানান, সকালে পৌর শহরের মিয়া রাস্তার মাথা এলাকা থেকে নির্মাণ কাজের জন্য কন্টাক্টর ইসমাইল মাঝির অধীনে নির্মাণ কাজের ডালাই মেশিনসহ ১৮জন শ্রমিক একটি পিকআপ ভ্যান যোগে চন্দ্রগঞ্জ এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
পিকআপ ভ্যানটি পৌর শহরের মুক্তিগঞ্জ এলাকায় পৌঁছলে সামনের চাকা ফেটে যায়। এক পর্যায়ে পিকআপ ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ডালাই মেশিনের চাপা পড়ে রফিক, মফিজ ও খোরশেদ নামে তিন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আহত আবদুর নুরকে নোয়াখালী নেয়ার পথে মারা যায়।
ঘটনার পর থেকে পিকআপ ভ্যান চালক মো. লিটন পলাতক রয়েছেন। সে আবির নগর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। এদিকে চার নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যুর খবরে নিহতদের পরিবার জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আনোয়ার হোসেন জানান, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তিন জন নিহত হয়েছেন। অপর এক জনকে নোয়াখালী নেয়ার পথে মারা যায়। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
জেলা সদর থানার ওসি এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, পিকআপটি উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। পিকআপের ড্রাইভার লিটন পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন