রাজধানীতে পাঠাও চালকের রহস্যজনক মৃত্যু

রাজধানীতে পাঠাও চালকের রহস্যজনক মৃত্যু
রাজধানীর শ্যামলীতে জাকির হোসেন লিটন (৪৭) নামে এক পাঠাও চালকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মুন্সিগঞ্জ গজারিয়া উপজেলার করিম খা গ্রামের মৃত আ. রাশেদ মিয়ার ছেলে তিনি। পরিবার নিয়ে শ্যামলী ঢাকা হাউজিংয়ে থাকতেন তিনি। নিহতের ছোট ভাই তৌহিদুল ইসলাম জানান, শ্যামলীতে এক মালিকের প্রাইভেট কার চালাতেন জাকির। ফাঁকে ফাঁকে পাঠাও অ্যাপের মাধ্যমে মোটরসাইকেলও চালাতেন তিনি। ৭ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বেলা ১২টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন তিনি। এরপর রাত ১২টা থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। কোথাও খুঁজে তাকে পাওয়া না যাওয়া পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করে তার পরিবার। ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ২টায় জাকিরের মোবাইলফোন থেকে তাদের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীরা। টাকা না পেলে জাকিরকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে জাকিরের সন্ধান পায় তার পরিবার। একইসঙ্গে শেরেবাংলা নগর থানায় তার মোটরসাইকেল থাকার সংবাদ জানেন তারা। থানা থেকে জানানো হয়, ৭ ফেব্রুয়ারি শেরেবাংলা নগর থানার সামনেই মোটরসাইকেল ও জাকিরকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। পরে জাকিরকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করায় তারা। সেখান থেকে তাকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রোববার সন্ধ্যায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানান, জাকিরের ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের ধারনা, ছিনতাইকারীরা তাকে মারধর করে ফেলে গেছে। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password