১৮ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টা বাজে ৩০ মিনিটে ৭০ ও '৮০ দশকের ঢাকায় সিনামার জনপ্রিয় অভিনেতা ওয়াসিম রাজধানীর শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরিবার সূত্রে জানা যায় গুনী এই অভিনেতা বেশ অনেক দিন ধরেই শয্যাশয়ী ছিলেন। ১৯৫০ সালে জন্ম নেয়া এ অভিনেতার বয়স হয়েছিলো ৭১ বছর।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান গনমাধ্যমকে জানান ওয়াসিম ভাইকে গোসল করানো হচ্ছে । আর গোসল শেষে তার মরদেহ ফ্রিজিং গাড়িতেই রাখা হবে। পরে রোববার (১৮ এপ্রিল) জোহর নামাজের পরে গুলশান আজাদ মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বনানী কবরস্থানে দ্বিতীয় জানাযা শেষে সেখানেই দাফন করা হবে।
জায়েদ খান আরও বলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র অঙ্গণের কেউ তাদের অবদানের কথা বুলতে পারবে না যতদিন চলচ্চিত্র থাকবে ততোদিন তাদের নাম স্বর্নাঅক্ষরে লিখা থাকবে।
গুনী এই অভিনেতা ১৯৫০ সালের ২৩ মার্চ চাঁদপুর জেলার আমিরাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। তার পারিবারিক নাম মেজবাহ উদ্দীন আহমেদ। তিনি তিনি ইতিহাস বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তাছাড়া তিনি ছিলেন একজন বডি বিল্ডার। ১৯৬৪ সালে তিনি বডি বিল্ডিং এর জন্য ইস্ট পাকিস্তান খেতাব ও অর্জন করেছিলেন।
তৎকালিন প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক এস এম শফীর হাত ধরেই ওয়াসিমের চলচ্চিত্র জগতে অভিষেক ঘটে। পরে ১৯৭২ সালে শফী পরিচালিত ‘ছন্দ হারিয়ে গেলো’ চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক হন তিনি। ১৯৭৪ সালে আরেক প্রখ্যাত চিত্রনির্মাতা মহসিন পরিচালিত ‘রাতের পর দিন’ চলচ্চিত্রে প্রথম নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। এই ছবির পর থেকে ওয়াসিমকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একে একে ১৫০টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সোনালী দিনের এই অভিনেতা। তবে তার অভিনীত ছবি ‘দি রেইন’ তাকে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়। পৃথিবীর ৪৬টি দেশে ‘দি রেইন’ মুক্তি পেয়েছিল।
অভিনেতা ওয়াসিম বিয়ে করেছিলেন চিত্রনায়িকা রোজীর ছোট বোনকে। দেওয়ান ফারদিন এবং কন্যা বুশরা আহমেদ নামের দুই সন্তানের জনক ছিলেন তিনি। ২০০০ সালে তার স্ত্রীর অকালমৃত্যু ঘটে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন