তওবা পড়ানোর সময় চিৎকার করে কান্না করলেও ফাঁসির মঞ্চে উঠে চুপ করে ছিলেন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকা থাকা খুনী আব্দুল মাজেদ। শনিবার (১১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
ফাঁসির আগে কারাগারের নিয়মানুযায়ী তাকে ওজু ও গোসল করানো হয়। এরপর কারাগার মসজিদের ইমাম যখন তাকে ত্ওবা পড়ায় তখন সে ভেঙে পড়ে কান্নায়। চিৎকার করে ইমামের হাত ধরে কান্না করতে থাকে বঙ্গবন্ধুর খুনের সাথে সরাসরি জড়িত আব্দুল মাজেদ। এই অবস্থাতেই তওবা পড়ানো হয়।
ফাঁসি কার্যকর করার আগ মুহুর্তে মঞ্চে নিয়ে আসার আগে থেকেই চুপ হয়ে যায় মাজেদ। এমনকি ফাঁসি কার্যকরের সময়ও কোনো অনুভুতি ছিল না তার।ফাঁসিতে কার্যকর করার পর তার দেহ ৫ মিনিট ঝুলিয়ে রাখা হয় দড়িতে। মৃত্যুর বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত করার জন্য ফাঁসির মঞ্চের নিচের দড়জা খোলে মৃতদেহ নামিয়ে বের করে আনা হয় সিভিল সার্জনের সামনে।
ফাঁসির মঞ্চের পাশে উপস্থিত সংশ্লিষ্ট একজন এসব তথ্য জানিয়েছে। খুনী মাজেদের ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকার জেলার মাহবুবুর রহমান।
সূত্র জানায়, শনিবার সকাল থেকেই ফাঁসির বিষয়টি জানতেন মাজেদ। বিকেলের দিকে কনডেম সেলে দায়িত্বরত কারারক্ষীদের কাছে দোয়া চেয়েছিলেন তিনি।
কেরানীগঞ্জের নতুন এই কারাগারে ফাঁসি কার্যকর হওয়া কোনো আসামীর মাঝে মাজেদই প্রথম। জল্লাদ শাহজাহান ও তার ১০ সহযোগীর একটি দল আব্দুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন