আত্মহত্যার আগে অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীর চিঠি,আমার পেটে জীবনের বাচ্চা

আত্মহত্যার আগে অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীর চিঠি,আমার পেটে জীবনের বাচ্চা
MostPlay

‘আমার পেটে জীবনের বাচ্চা। আমি তো বেঁচে থাকতে ওর বিচার করতে পারলাম না। মরার পরে যেন কঠোর বিচার হয়।’ আত্মহত্যার আগে চিরকুটে এভাবেই প্রেমিকের বিচার চাইল দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক স্কুলছাত্রী।

সোমবার সকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের চর নিতাইল পাড়া এলাকার পূর্ব পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত কিশোরী ওই উপজেলার শালঘর মধুয়া হাজী আছিয়া খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে একই এলাকায় জহুরুল হাজীর কলেজ পড়ুয়া ছেলে জীবনের সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেম হয়। এক পর্যায়ে তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। দুই মাস আগে ওই কিশোরী বুঝতে পারে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এরপর বিয়ের জন্য জীবনকে বারবার চাপ দিতে থাকে।

শনিবার জীবনের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাগর গুছিয়ে রাখে সে। কিন্তু জীবন পালাতে রাজি না হওয়ায় রোববার সন্ধ্যায় জীবনের বাড়িতে ছুটে যায়। ওই সময় তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় জীবনের মা-বাবা-বোন। এরপর ওই কিশোরী বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে জীবন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে। পুলিশ বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়ে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। সোমবার সকালে চিরকুটে প্রেমিক ও বাচ্চার কথা জানিয়ে নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী।

নিহতের মা বলেন, আমার মেয়ে এতিম। অনেক কষ্টে ওকে বড় করেছি। ওর সঙ্গে যারা খারাপ কিছু করেছে তাদের কঠোর বিচার চাই।বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম বলেন, মেয়েটি ক্যাম্পে এসে জীবন নামে ওই ছেলের সঙ্গে প্রেমের কথা জানিয়ে বলে ‘আমি বাড়ি গেলে পরিবারের লোকজন মারবে।’ এ কথা শুনে আমরা বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি।

কুমারখালী থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান, তদন্তের স্বার্থে চিরকুটসহ একটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত জীবন ও তার পরিবারের সবাই পলাতক।

মন্তব্যসমূহ (১)


Lost Password