ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আশঙ্কার চেয়েও কঠোর প্রয়োগ হচ্ছে

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আশঙ্কার চেয়েও কঠোর প্রয়োগ হচ্ছে
MostPlay

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগে সংবাদকর্মী ও মুক্তমত প্রকাশকারী ব্যক্তিরা ক্রমাগতভাবে নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এমন আশঙ্কা আইনটি তৈরির সময়ই করা হয়েছিল। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আশঙ্কার চেয়েও আরও কঠিনভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে আইনটি। এক্ষেত্রে তাদেরকে গ্রেফতারের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে নির্দয় আচরণ করছে, তা অত্যন্ত অনভিপ্রেত। মুক্তমনা লেখক মুশতাক আহমেদকে জীবন দিয়ে তা প্রমাণ করতে হলো। 

সম্পাদক পরিষদের এক বিবৃতিতে শনিবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে এসব কথা বলা হয়। সংগঠনের সভাপতি ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আইনটি সংশোধনের জোরাল দাবি জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, ১০ মাস কারাবন্দি থাকার পর কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে জামিন দেওয়ায় আমরা মাননীয় আদালতকে ধন্যবাদ জানাই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি লেখা শেয়ার দেওয়ার কারণে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে দীর্ঘদিন নিখোঁজ ও কারাগারে থাকতে হয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি মিডিয়া ওয়াচডগ বডি আর্টিকেল ১৯-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৯৮টি মামলায় ৪৫৭ জনকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে ও গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭৫ জন সাংবাদিক। তাদের মধ্যে ৩২ জনকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আইনটি নিয়ে আমরা কেন উদ্বিগ্ন- ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সম্পাদক পরিষদ তা বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেছিল। ব্যাখ্যায় আইনটির ৯টি ধারা  নিয়ে সম্পাদক পরিষদ তাদের উদ্বেগ তুলে ধরেছিল। ধারাগুলো হলো- ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩। 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক সংবাদকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি এবং মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password