পরমাণু অস্ত্রের জবাব হবে পরমাণু অস্ত্র দিয়ে

পরমাণু অস্ত্রের জবাব হবে পরমাণু অস্ত্র দিয়ে
MostPlay

যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিদ্বেষী নীতি’র জবাব দেয়ার জন্য নিজেদের পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। এ বিষয়ে শুক্রবার (২৬ জুন) উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে , 'পরমাণু অস্ত্র দিয়ে পরমাণু অস্ত্রের জবাব’ দেয়া ছাড়া দেশটির আর কোনো উপায় নেই। এরই মধ্যে পরমাণু অস্ত্রের ডামি পরিদর্শন করছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন।

কোরীয় যুদ্ধ শুরুর ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা কেসিএনএ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্রের হুমকি যতদিন থাকবে ততদিন পিয়ংইয়ং তার সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে যাবে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পরমাণু হুমকি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে উত্তর কোরিয়া সরকার সংলাপ অথবা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছে, কিন্তু সে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।এতে আরও বলা হয়, কাজেই এখন আর একটিমাত্র উপায় বাকি রয়েছে এবং তা হচ্ছে পরমাণু অস্ত্র দিয়ে পরমাণু অস্ত্রের জবাব দেয়া।

উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বিগত বছরগুলোতে উত্তর কোরিয়ার কিম জং-উন সরকারকে তার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি থেকে বিরত রাখার জন্য পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো চুক্তি করতে ব্যর্থ হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। 

এদিকে ভারত-চীন সংঘাতকে কেন্দ্র করে লাদাখে এখন যুদ্ধপরিস্থতি। এই সংঘাতের মধ্যেই মিসাইলের মুখ চীনের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে জাপান। যে-কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারতও।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এমন উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থায় আমেরিকাও হাত-পা গুটিয়ে বসে নেই। মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেওয়ের কথাতেই সেটা প্রায় পরিষ্কার। চীনের মোকাবিলায় এবার এশিয়ায় আসছে মার্কিন সেনা।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুখে ভারত-চীন সীমান্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা বললেও, ভেতরে যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে এই দেশটিও।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) ব্রাসেলস ফোরামের ভার্চুয়াল সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের দাদাগিরির কারণেই ইউরোপ থেকে মার্কিন সেনার সংখ্যা কমানো হচ্ছে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জার্মানিতে সেনা সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে কেন? জবাবে তিনি বলেন, মার্কিন সেনা বেশিদিন এখানে থাকবে না। তাদের অন্যত্র সরানো হচ্ছে। লক্ষ্য যে চীন, তা স্পষ্ট করে দেন পম্পেও।

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সমালোচনাও করে পম্পেও বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পদক্ষেপ শুধু ভারতের জন্য হুমকি নয়। ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্সের জন্যেও হুমকির। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের তৎপরতা নিয়েও ক্ষুব্ধ আমেরিকা।

পম্পেওর বলেন, 'আমাদের সময়ের এই চ্যালেঞ্জ'- এর মোকাবিলা করতেই মার্কিন সেনাকে জার্মানি থেকে সেরিয়ে আনা হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password