মোবাইল ফোন ব্যবহারের দশটি খারাপ অভ্যাস

মোবাইল ফোন ব্যবহারের দশটি খারাপ অভ্যাস
MostPlay

কখনো হিসেব করে দেখেছেন দিনে কতবার আপনি আপনার মোবাইল ফোন চেক করেন? মোবাইলে ইন্টারনেট আর স্মার্ট ফোনের ব্যবহার দিনে দিনে আমাদের অসামাজিক করে তুলছে। কিন্তু প্রতি দুই মিনিট পরপর মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে চেক করাটা কেমন দেখায়? আর এটা যদি আপনার অভ্যাসে পরিণত হয় তাহলে বুঝে নেবেন মোবাইল ফোন আপনার জীবন নিয়ন্ত্রণ করছে। কীভাবে মোবাইল ফোন আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করছে তা জেনে নিন এবার।


১. ঘুমাতে যাবার আগে ফেসবুক: সামাজিক যোগাযোগের প্রতি আপনার আসক্তি থাকলে আর হাতে স্মার্টফোন থাকলে প্রতি মিনিটে ফেসবুক আপডেট চেক করতে আপনার কোনো বাধা নেই। কে আপনার ছবিতে লাইক দিল বা স্ট্যাটাসে কমেন্ট করলো তা বারবার চেক করা আপনার অভ্যাসই হয়তো হয়ে গেছে। কিন্তু ঘুমাতে যাবার আগে ফেসবুক চেক করার অভ্যাস আপনার শান্তিপূর্ণ ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে কি না একবার ভেবে দেখুন।


২. খাবারের ছবি তোলা: বন্ধু বা পরিবারের সাথে বাইরে খেতে বসেছেন, জমাট আড্ডাও চলছে। খাবার আসতেই আড্ডা বা খাওয়া থেকে মনোযোগ সরিয়ে আপনি খাবারের সুন্দর ছবি তোলা শুরু করলেন। আর আপলোড করতে থাকলেন ইন্সটাগ্রাম বা ফেসবুকে। এই অভ্যাস হয়তো আপনার অজান্তেই সুন্দর সন্ধ্যাটাকে মাটি করে দিচ্ছে।


৩. মদ্যপ অবস্থায় স্ট্যাটাস বা টুইট: অনেকের মধ্যেই এই দেখানেপনাটা থাকে। বারে বসে ড্রিঙ্ক করতে করতে হয়তো ফেসবুকে বা টুইটারে উল্টোপাল্টা একটা পোস্ট দিলেন। এটা আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি করতে পারে। ফলে, মোবাইলের সাথে অ্যালকোহল না মেশানোই ভাল।


৪. হাঁটতে হাঁটতে এসএমএস বিনিময়: হাঁটতে হাঁটতে চ্যাট বা এসএমএস বিনিময় একেবারে বাদ দিন। ভাবুন আপনি এমন আহামরি কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলছেন কি না যা গন্তব্যে পৌঁছে বা রাস্তা পার হয়ে করলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে? টেক্সট করতে করতে পথ চলছে ভুলো মনে বড় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে যেতে পারেন আপনি।


৫. অন্যের কথার মধ্যে চ্যাটিং: সামনা সামনি বসে যিনি আপনার সাথে কথা বলছেন তিনি তো আপনার মনোযোগ চান। কিন্তু তখন যদি আপনি চ্যাটিংয়ে ব্যস্ত থাকেন তখন কেমন মনে হয়। এটা বাজে দেখায় আর বিরক্তিকরও। আপনি কথা বলার সময় কেউ যদি চ্যাটিং করতে থাকে আপনার কেমন লাগবে?


৬. গেমিং: স্মার্ট ফোনের এক নতুন উপদ্রব গেমিং। মজা হলেও এতে সময় যায় অনেক। ভেবে দেখুন তো আপনি ১০ বছর বয়সে ফিরে গেছেন কি না। গেমিংয়ের চাইতে জরুরি কোনো কাজ পড়ে আছে কি না।


৭. বাথরুমে ফোন নিয়ে ঢোকা: আগে অনেকের সকালের খবর কাগজ নিয়ে বাথরুমে ঢোকার বদঅভ্যাস ছিল। এখন ঢোকে স্মার্টফোন নিয়ে। বাথরুমে বসে কাউকে ফোন করা বা মেসেজ পাঠানোটা কেমন অভ্যাস একবার ভেবে দেখুন তো?


৮. ছুটিতে গিয়েও ই-মেইল: ছুটিতে গিয়েছেন- সঙ্গীর সাথে মনোরম লোকেশনে দারুণ সময় কাটছে। কিন্তু আপনার স্মার্টফোনে কিন্তু মেইল আসছেই। আর আপনিও তাতে সাড়া দিচ্ছেন। অফিসের কাজে জড়িয়ে পড়ছেন অজান্তে। ছুটিতে কি অফিশিয়াল ই-মেইল চেক না করলেই নয়?


৯. ফোরস্কয়ারে আসক্তি: স্মার্টফোন ব্যবহার করে নিজে কোথায় আছেন তা জানান দেওয়া এবং বন্ধু ও পরিচিতদের লোকেশন জানাটা একটা জনপ্রিয় ব্যাপার। এক্ষেত্রে ফোরস্কয়ার বাইরে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। আমাদের দেশে ততোটা নয়। কিন্তু লোকেশন জানার নানা উপায় আছে। লোকেশন জানার বা জানাবার প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি কিন্তু আপনাকে ছোঁকছোঁকে ব্যক্তিতে পরিণত করতে পারে।


১০. হোয়াটসঅ্যাপে বড় গ্রুপ তৈরি: আপনার ফোনবুক বড় হতেই পারে। আপনি আলাদা আলাদা গ্রুপ করে গ্রুপগুলোর সাথে যুক্ত থাকতেও পারেন। কিন্তু বেশি গ্রুপ বা বড় গ্রুপের সাথে কানেকটেড থাকার অভ্যাস আপনার দিনটা খেয়ে নিতে পারে। যেকোনো ব্যাপারে অতিরিক্তটা খারাপ, তাই না?

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password