ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনের লড়াই, আবু আশফাকের অভিজ্ঞতা বনাম নজরুল-অন্তরার নতুনত্বের চ্যালেঞ্জ

ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনের লড়াই, আবু আশফাকের অভিজ্ঞতা বনাম নজরুল-অন্তরার নতুনত্বের চ্যালেঞ্জ

দোহার-নবাবগঞ্জ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকার রাজনীতির অন্যতম স্নায়ু শৈল কেন্দ্র ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে প্রার্থীদের সরব উপস্থিতিতে পুরো এলাকা এখন উৎসবমুখর ও রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত। বড়ো দলগুলোর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীর উপস্থিতি এবং জোটের নতুন মেরূকরণে এই আসনের নির্বাচনী সমীকরণ দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে।

ঢাকা-১ আসনে এবার বহুমুখী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। প্রার্থীরা নিজ নিজ সমর্থকদের নিয়ে আজ আনন্দঘন পরিবেশে মনোনয়নপত্র জমা দেন। প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন খন্দকার আবু আশফাক (বিএনপি), ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম (বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী), অ্যাডভোকেট অন্তরা সেলিমা হুদা (স্বতন্ত্র), নুরুল ইসলাম (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ), মো. নাছির উদ্দিন মোল্লা (জাতীয় পার্টি), শেখ মো. আলী (লেবার পার্টি)।

এই নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক হয়ে দাঁড়িয়েছে এনসিপি প্রার্থী রাসেল মোল্লার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার। আজ তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের প্রার্থিতা সরিয়ে নিয়ে জোটের স্বার্থে ব্যারিস্টার নজরুল ইসলামকে পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাসেল মোল্লার এই ‘কৌশলগত প্রত্যাহার’ ব্যারিস্টার নজরুলের অবস্থানকে আরও সুসংহত করল। জোটবদ্ধ এই সংহতি বিরোধী শিবিরের ভোট বিভাজন রোধ করবে, যা দোহার-নবাবগঞ্জের নির্বাচনী লড়াইকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বিশেষ করে দোহারের আঞ্চলিক রাজনীতিতে এই ঐক্য জোটের বিজয় সম্ভাবনাকে এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা।

দীর্ঘদিন পর একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের আমেজ পেয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝেও ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। খন্দকার আবু আশফাকের মতো বর্ষীয়ান রাজনীতিকের বিপরীতে ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম বা অন্তরা সেলিমা হুদার মতো নতুন মুখের আবেদন ভোটারদের চূড়ান্ত রায়ে কী প্রভাব ফেলে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password