মাইকে ঘোষণা দিয়ে ব্যান্ড বাজিয়ে ২ ইউনিয়নবাসীর তুমুল সংঘর্ষ

মাইকে ঘোষণা দিয়ে ব্যান্ড বাজিয়ে ২ ইউনিয়নবাসীর তুমুল সংঘর্ষ
MostPlay

প্রথমে মাইকে ঘোষণা। এরপর জড়ো হয় দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। বাদ্য বাজিয়ে জড়িয়ে পড়ে তারা সংঘর্ষে। খুব তুচ্ছ ঘটনা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ পরিনত হয় রণক্ষেত্রে। খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকাজুড়ে এখনও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে ব্যান্ড পার্টির বাদ্য বাজিয়ে দুই ইউনিয়নবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১০ জন আহত হন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে শিমুলবাজার এলাকার আশপাশে থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে। পরে পুলিশ তিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের প্রচেষ্টায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে।

পুলিশ ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, ৪-৫ দিন আগে আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদে পাতরাইল থানমাত্তা ও পুকুরপাড় গ্রামের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এক সালিশবৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই সালিশবৈঠক চলাকালে পাতরাইল থানমাত্তা গ্রামের ৪-৫ জন যুবককে পুকুরপাড় গ্রামের লোকজন মারধর করে।

এর সূত্র ধরে আজ সকাল ১০টার সময় পাতরাইল থানমাত্তা গ্রামের পক্ষ হয়ে কালামৃধা ইউনিয়নের লোকজন এবং পুকুরপাড় গ্রামের লোকজনের হয়ে আজিমনগর ইউনিয়নবাসী সমর্থন দেয়। এতে দুই ইউনিয়নবাসী মাইকে ঘোষণা দিয়ে ব্যান্ড পার্টির বাদ্য বাজিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। স্থানীয় তিন ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশের সহযোগিতায় বড় ধরনের সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পায়। এ ঘটনা এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করেছে।

আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদার বলেন, আমরা স্থানীয় ঘারুয়া, কালামৃধা ও আজিমনগর তিন চেয়ারম্যান মিলে পরিবেশ শান্ত করি। কালামৃধা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রেজাউল মাতবর বলেন, আমার এলাকার লোকজন পাতরাইল থানমাত্তা গ্রামের সমর্থন দেয়। পরে আমি তাদের ফিরিয়ে দিয়েছি। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে আল্লাহ হেফাজত করেছে। এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ জিয়ারুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password