'আমিষেই শক্তি, আমিষেই মুক্তি’ এই স্লোগানে মানিকগঞ্জ, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার নদীবিধৌত চরাঞ্চলে বসবাসকারী সুফলভোগী খামারীদের মাঝে বিনামূল্যে হাঁস বিতরণ করা হয়েছে। ঢাকার দোহারের উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল এই আয়োজন করা হয়।
হাঁস বিতরণ কর্মসূচির বিস্তারিত
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই, ২০২৫) সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে উন্নত জাতের হাঁস বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসুম এবং সঞ্চালনা করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শামীম হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) ডা. বেগম সামছুন নাহার আহম্মদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রহিমা বেগম, পিএসও, প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মহাখালী, বাসনা আখতার, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার, ঢাকা, উপ-প্রকল্প পরিচালক ডা. দিপক সরকার।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও সুবিধা
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) ডা. বেগম সামছুন নাহার আহম্মদ জানান, নদীবিধৌত চরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। দোহার উপজেলায় ১০০টি পরিবারের মাঝে ২১টি করে হাঁস বিতরণ করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, এই প্রকল্প তাদের জীবনমান ও অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। একই সাথে, গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি পালনের উপর এসব সুফলভোগীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শামীম হোসেন বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে সব দিক থেকে স্মার্ট করতে এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে অর্থনৈতিক মুক্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
ঘাস চাষীদের আর্থিক সহায়তা
হাঁস বিতরণের পর, ১৬ জন সফল ঘাস চাষীর মাঝে নগদ ৫ হাজার টাকা করে মোট ৮০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। এটি ঘাস চাষের মাধ্যমে পশুপালনে সহায়তার একটি উদ্যোগ।
এই উদ্যোগগুলো স্থানীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন