নওগাঁর বদলগাছীর পাহাড়পুরের ব্র‍্যাক ফিল্ড অফিসার কর্তৃক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নওগাঁর বদলগাছীর পাহাড়পুরের ব্র‍্যাক ফিল্ড অফিসার কর্তৃক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার ঐতিহাসিক পাহাড়পুর ইউপির বেসরকারি এনজিও ব্র‍্যাক অফিসের এক ফিল্ড অফিসার কর্তৃক বিপুল অংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তি রাজশাহী জেলার বাঘমারা উপজেলার বড়বিহান আলী গ্রামের মো: ইছাহাক আলী দুলালের স্ত্রী শামিমা আকতার (৩৫)। তিনি পাহাড়পুর ব্র‍্যাক অফিসের ফিল্ড অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ভুক্তভোগী বদলগাছী উপজেলার ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী, দ্বারিশন গ্রামের শুকুমদ্দীনের ছেলে এজানুর রহমান জানান, ব্র‍্যাক অফিসের মাঠ কর্মি শামিমার সাথে আমার ধর্ম ভাইয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর কারণে তার সাথে আমার পরিবারের সম্পর্ক ও অত্যন্ত ঘনিষ্ট হয়ে ওঠে। এরই সুবাদে সে আমার বাবার কাছে থেকে নগদ ৫ লক্ষ টাকা ও আমার বিকাশ,নগদ ও মুদি দোকানের বাঁকি বাবদ ২ লক্ষ ৫১ হাজার টাকাসহ মোট ৭ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা সে নেয়।

বারবার তলব তাগাদা দিলে ও সে টাকা না দিয়ে নানা তালবাহানা করতে থাকে এক পর্যায়ে টাকা পরিশোধ করবে মর্মে জনতা ব্যাংকের একটি চেক দিলে ও টাকা উঠাতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ১৭জুলাই ২০২৩ তারিখে একটি ডিজঅনার সার্টিফিকেটসহ চেকটি ফেরত দেয়। এই মর্মে উক্ত শামিমার কাছে উকিল নোটিশ পাঠালে ও কোন জবাব উনি দেননি। তার টাকা আত্মসাতের অনুসন্ধানে শামিমার এনজিও এলাকা ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বাজারে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ রকম প্রতারণা তিনি এজানুর ছাড়া ও অনেকের সাথেই করেছেন। পাহাড়পুর বাজারের সজিব,রাহাদুল,মামুনসহ অনেক ব্যবসায়ীর কাছে থেকে তিনি ডিপিএস রাখার টাকার প্রতারণা, দোকানে বাঁকি নিয়ে পরিশোধ না করাসহ নানা বিষয়ে অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যপারে অভিযুক্ত শামিমা আকতারকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন,সে আমার কাছে থেকে কোন টাকা পাবেনা। এ বিষয়ে পাহাড়পুর ব্র‍্যাক অফিস শাখার ম্যানেজার বলেন,ফিল্ড অফিসার শামিমার সাথে এজানুরের টাকার লেনদেন বিষয়ে শুনেছি। এটা তাদের ব্যক্তিগত দেনাপাওনা। এ বিষয়ে আমাদের কোনকিছু করার নেই।তবে অন্যজনের কাছে দেনাপাওনা বিষয়ে আমার জানা নেই।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password