হাত পাখার প্রার্থীর উপর হামলার অভিযোগ

হাত পাখার প্রার্থীর উপর হামলার অভিযোগ
MostPlay

বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের মেয়রপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিমের গাড়িতে ভাঙচুর ও তার সঙ্গে থাকা লোকজনের ওপর নৌকার কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই মেয়রপ্রার্থী জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

বরিশালে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেও দুপুর হতেই পরিস্থিতি বদলে যায়। পুলিশের কাছে হামলার অভিযোগ করেন হাতপাখার মেয়র প্রার্থী ফয়জুল করীম। এ নিয়ে কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভোটের মাঠ। ইভিএমে ধীরগতি নিয়েও ভোটারদের মাঝে ছিলো মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

আওয়ামী লীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে এজেন্টদের বের করে দেয়া, হামলা ও নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ করেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম (হাতপাখা মার্কা)। বলেছেন, ভোটকেন্দ্র সম্পূর্ণ একটি আইওয়াশ।

হাতপাখা মার্কার প্রার্থী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের এজেন্টকে বের করে দিয়েছে। আমি ঢুকতে চেয়েছি। এলাকার আওয়ামী লীগের লোকজন আমাকে ঢুকতে দেবে না। এরপর আমাদের লোকের উপর হামলা করেছে। লোকজন ঢুকতে পারে না। ভোটাররা ঢুকতে পারে না। সেখানে প্রভাব বিস্তার করছে।

ফয়জুল করিম আরও বলেন, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, তারা এখনও স্লোগান দিচ্ছে ‘নৌকা নৌকা’ করে। ভোটকেন্দ্রের এরিয়ার মধ্যে স্লোগান দেয়ার কোনো বৈধতা আছে? আপনারা দেখাতে পারবেন? সবদিকে প্রশাসনের এত লোকজন। কারও কোনো খবর নাই! সবাই নীরব ভূমিকা পালন করছে। আসলে, ভোটকেন্দ্র সম্পূর্ণই একটি আইওয়াশ।

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগে ছিল। কিন্তু আজ আমি আগে থেকেই শঙ্কিত ছিলাম যে, ভোট ঠিকমতো হবে না। কীসের সিসি ক্যামেরা! দেখুন, ভোটকেন্দ্রের বাইরে সিসি ক্যামেরা থাকার কথা ছিল। নির্বাচন কমিশন থেকে সব তদারক করার কথা ছিল। দেখুন, সেসব কিছু আছে কিনা।

তিনি আরও বলেন, আমি একজন প্রার্থী। নৌকার লোকজন যেভাবে আমাকে আক্রমণ করছে তাতে আমার কর্মীদের কী অবস্থা হবে বলেন! আমি কেন্দ্রে ঢুকতে গিয়েছি। কয়েকজন এসে আমাকে বাধা দিয়েছে। বলেছি, আমি প্রার্থী। আমার ভেতরে ঢোকার অনুমতি আছে। বাধা দিলে দেবে প্রশাসন। তারা কারা?

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password