নির্যাতনকারীদের নাম প্রকাশ করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বর্ণনা দিলেন পরীমনি

নির্যাতনকারীদের নাম প্রকাশ করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বর্ণনা দিলেন পরীমনি
MostPlay

গতকাল রবিবার (১৩ জুন) রাত ৮টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে বর্তমান সময়ের বাংলা সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় ও ব্যাস্ত নায়িকা পরীমনি জানান তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। স্ট্যাটাসে পরীমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাহায্য কামনা করেছেন। সেখানে তিনি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে মা বলে সম্মোধনও করেছেন।

স্ট্যাটাস দেয়ার পর সংবাদ মাধ্যমগুলো তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি জানান ফোনে তিনি কথা বলতে চাইছেন না। তিনি সকল গনমাধ্যম কর্মীকে তার বাসায় আসতে বলেন। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাংবাদিকদের তার সঙ্গে হওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন পরীমনি। পরীমনি তার নিজ বাসায় সাংবাদিকদের নির্যাতনকারীদের নাম ও ঘটনার কিছু বর্ণনা করেন। তিনি দুইজনের নাম উল্লেখ করেছেন। একজন হলো রাজধানীর উত্তরা ক্লাব লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট নাছির ইউ. মাহমুদ এবং অন্যজন হলো কস্টিউম ডিজাইনার জেমীর স্কুল ফ্রেন্ড অমি।

সেদিইনের ঘটনা বর্ণনা করার সময় প্রায় কেঁদে উঠছিলেন পরীমনি। পরীমনি জানান এ ঘটনাটি ঘটে চার দিন আগে ঢাকার বোট ক্লাবে। তার কস্টিউম ডিজাইনার জেমীর স্কুল ফ্রেন্ড অমি নামের এক ব্যবসায়ী একটি সিনেমার মিটিংয়ের কথা বলে সেদিন রাতে বোট ক্লাবে তাকে নিয়ে যায়। বেশ ক’দিন ধরেই এই বৈঠকের কথা চলছিল। কিন্তু পরীমনি আগ্রহ পাচ্ছিলেন না। পরে অমির অনুরোধে সেদিন রাতে পরী বৈঠকে যান। সেখানে গিয়ে পরীমনি দেখতে পান নাসিরুদ্দিনসহ চার-পাঁচজন টেবিলে বসে আছেন। তাদের সঙ্গে পরীমনির পরিচয় করিয়ে দেন অমি। সেসময় নাছির ইউ. মাহমুদ নিজেকে ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন। সেসময় তাদের টেবিলে দুটি মদের বোতল ছিল। সেখানে নাছির ইউ. মাহমুদ পরীকে মদ খেতে অফার করে। মদের অফার নাকচ করে দিলে পরে তাকে কফি খেতে দেওয়া হয়। তবে, কফির স্বাদ স্বাভাবিক ছিল না। তাই তিনি কফি পান করেননি। এমনকি পরে সরবরাহ করা কোল্ড ড্রিংকসেও কিছু মেশানো হয়েছিল বলে মনে হয় পরীমনির। পরে তিনি কোল্ড ড্রিকিংস পান না করলে নাসির ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরী ও জেমি ওয়াশরুমে যেতে চাইলে পরীকে বাধা দেয়া হয়। পরে তাকে লাথি মেরে নিচে ফেলা দেয়া হয় এবং তার মুখের মধ্যে মদের বোতল ঢুকিয়ে দেয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে চড় থাপ্পড় মারে। তারপর তাকে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টা করেন। পরীমনি বলেন এই ঘটনার সাথে অমিও জড়িত।

ওই রাতেই বনানী থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন পরীমনি। কিন্তু তারা পরীমনির অভিযোগ শুনলেও, লিখিত কোনো কাগজপত্র নেয়নি। থানা থেকে তেমন কোনো সাড়া না পেয়ে চলে আসেন তিনি। শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সাথেও যোগযোগ করেন পরীমনি। জাতীদ খান তাকে আশ্বস্ত করলেও পরবর্তীতে কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করেননি। তাই আজ চুপ করে না থেকে প্রধ্নামন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password