না ফেরার দেশে চলে গেলেন গনসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর

না ফেরার দেশে চলে গেলেন গনসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর

না ফেরার দেশে চলে গেলেন গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিশ্বাষ ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলেকে রেখে গেছেন। 

এর আগে সোমবার (১৯ জুলাই) ফকির আলমগীরের চিকিৎসায় ইউনাইটেড হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। ১৮ জুলাই রাত ১০টার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা।

ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কোভিড ইউনিটে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় তার বাবার হার্ট অ্যাটাক হয়। রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে ইউনাইটেড হাসপাতালের কোভিড আইসিইউ ইউনিটের ইনচার্জ ডা. আমিনা সুলতানা তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

গত ১৪ জুলাই ফকির আলমগীরের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়। এর একদিন পর ১৫ জুলাই জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। করোনায় তার ফুসফুস ৬০ শতাংশ সংক্রমিত হয়।

মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ছিলেন ফকির আলমগীর। এর আগে, ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে অসামান্য অবদান রাখেন তিনি। স্বাধীনতার পর পপ ঘরানার গানে যুক্ত হন ফকির আলমগীর। সংগীতে অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে তিনি একুশে পদকে সম্মানিত হন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password