পরকিয়ার বলি প্রবাসী স্বামী আনোয়ার হোসেন, ধামা চাপা দিতে ভাসুরের বিরুদ্ধে মামলা

পরকিয়ার বলি প্রবাসী স্বামী আনোয়ার হোসেন, ধামা চাপা দিতে ভাসুরের বিরুদ্ধে মামলা
MostPlay

নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর শিবপুরে একাধিক পরকীয়া প্রেমের নায়িকা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে বিদেশ থেকে আসা স্বামী আনোয়ার হোসেনকে দেশে আসার মাত্র ৪ দিন পর প্রেমিকদের সহযোগীতায় কৌশলে হত্যা করা হয় বলে একাধিক সূত্রে যানা গেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সৈয়দনগর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী ভূইয়ার পুত্র আনোয়ার হোসেন সৌদি আরবে চাকরি করেন।

আনোয়ার হোসেন বিদেশ যাওয়ার পর থেকেই তার স্ত্রী সুমি বেগম ২ সন্তানসহ পিতার বাড়ি ও পরে শিবপুরে বিভিন্ন স্থানে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল। গত ২৪ মে আনোয়ার হোসেন সৌদি আরব কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে তার স্ত্রীর অবস্থানরত শিবপুর ভাড়াবাসায় আসে। এবং ৪ দিন পর ২৮ মে রহস্যজনক মৃত্যুর ধামাচাপা দেয়ার জন্য আনোয়ারের বড় ভাই ও তার স্ত্রী এবং ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে মৃত আনোয়ারের স্ত্রী সুমি বেগম। তবে মামলায় উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে এলাকাবাসী অবগত নয়।

সুমি কখনো তার স্বামীর বাড়িতে ছিলোনা। সুমি বেগম উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শশুরবাড়ীর লোকজনকে হয়রানি করার জন্য কুচক্রী মহলের পরামর্শে উক্ত মামলাটি দায়ের করেছে। এলাকাবাসী উল্লেখিত মিথ্যে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। এব্যাপারে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশ হয়েছিলো। এদিকে মৃত আনোয়ার হোসেনের বড় ভাই রুহুল আমিন ভূঞাও বাদী হয়ে কোর্টে মামলা করেন।

এতে আসামী করা হয়েছে, ১। মিয়ারগাঁওয়ের মৃত আনোয়ার হোসেন ওরফে টুকু মিয়ার মেয়ে মোসাঃ সুমি বেগম (৩০), ২। সুমি বেগমের মা শিরিন (৫৫), ৩। সুমি বেগমের ভাই রাসেল মিয়া (২৮), ৪। মিয়ারগাঁওয়ের মৃত রমিজ উদ্দিন এর ছেলে বদিও উদ্দিন মিয়া বদু (৬০), ৫। শিবপুরের সৈয়দনগর পাঁচভাগের মৃত আঃ আউয়ালের ছেলে আঃ মান্নান (৫৫), ৬। আঃ মান্নানের স্ত্রী ঝরনা বেগম (৫০), ৭। মান্নানের ছেলে জুয়েল, ৮। মান্নানের ছেলে রুবেল। উল্লেখ করা হয়, তার ভাই আনোয়ার হোসেন দুবাই ও সৌদিতে আনুমানীক ১০/১২ বছর চাকরি করেন।

বিদেশ যাওয়ার সময় তার স্ত্রী সুমিকে নিজ বাড়িতে রেখে গেলে কিছুদিন সেখানে অবস্থানকরাকালে মোবাইল ফোনে অধিকাংশ সময় অজ্ঞাত নামা লোকজনের সাথে কথা বার্তা বলতো এবং কাউকে কিছু না বলে যেখানে সেখানে ইচ্ছে মতো চলাফেরা করতো। এক পর্যায়ে সুমি বেগম যাবতীয় মালামাল নিয়ে তার পিত্রালয়ে চলে যায়। পরে পিত্রালয় থেকে শিবপুর থানার সদরে বিভিন্ন স্থানে ভাড়া বাসায় অবস্থান করতে থাকে। সর্বশেষে তার ইচ্ছামত শিবপুর থানাধীন বানিয়াদিস্থ সালাউদ্দিন গংদের মালিকানাধীন ‘স্বপ্নের আবাসন’ নামক ৬ তলা বাড়ীর ৩য় তলায় ভাড়া বাসায় অবস্থান করে।

জানা যায়, আসামী ভাড়াকৃত বাসায় ২-৮ নং আসামী সহ অজ্ঞাত নামা লোকজন আসা যাওয়া করত। কিন্তু বাদী ১নং আসামী ও অপরাপর আসামীগনের সম্পর্কে ভয়ে কিছু বলতে সাহস পায়নি। বাদী বর্নিত ভাইয়ের সংসার ভেঙ্গে যাবে অথবা ভুল বুঝাবুঝির কারণে ভাইদের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে ধারণায় বাদীর ভাইকেও কোন কিছু জানায়নি। তার ভাই বিদেশ খেকে উপার্জিত সমস্ত টাকা পয়সা সুমী বেগমের নিকট প্রেরণ করে। পাঠানো সমস্ত টাকা পয়সার হিসাব চাইলে প্রায় সময়ই বাদীর ভাইয়ের সাথে কোন হিসাব না দেয়ায় বাদীর ভাইয়ের সাথে ঝগড়াঝাটি ও মনোমালিন্য চলতে থাকে।

অতঃপর রুহুল আমিন ভূঞার ভাই আনোয়ার হোসেন বিগত ২৪ মে সৌদি আরব থেকে দেশে এসে বিমান বন্দর থেকে সরাসরি শিবপুরস্থ বানিয়াদীতে ভাড়া বাসায় এসে উঠে এবং রুহুল আমিনের ভাই আনোয়ারের সাথে সুমীর প্রেরণকৃত টাকার হিসাব নিয়ে বিরোধ চলতে থাকে। অতঃপর বিগত ২৭ মে ভাই আনোয়ার হোসেন তার নিজ বাড়ী সৈয়দনগরে এসে বাদী রুহুল আমিন ভূঞার সাথে দেখা করে জানায় যে, সুমি বেগম পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছে বলে অনেক তথ্য পেয়েছে এবং তার উপার্জিত লক্ষ লক্ষ টাকার কোন সঠিক হিসাব দেয় না।

এমতাবস্থায় আনোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলে আসতেছে। তদুপরী দুটি সন্তানের দিকে তাকিয়ে আনোয়ার হোসেন গ্রামের বাড়ীতে একটি চারতলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট বিল্ডিং নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। অতঃপর বিগত ২৮ মে আনোয়ার হোসেনের রহস্যময় মৃত্য ঘটে। তার মৃত্যুও পর স্ত্রী সুমী বেগম কাউকে কিছু না জানিয়ে তরীগরি করে দাফনের চেষ্টা করে। তার লোক দেখানোর জন্য মৃত ব্যক্তিকেই হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসে মৃত আনোয়ার হোসেনের ভাইদের কিছু না জানিয়েই দাফন করে ফেলে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password