করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে লন্ড ভন্ড ভারত। তাই নিজেদের দেশের করোনা সংক্রামণ ঠেকাতে হীমসিম খাচ্ছে তারা। তাই কথা থাকা সত্ত্বেও টিকা দিতে পারেনি বাংলাদেশকে। তবে টিকা না দিলেও বাংলাদেশের চলমান করোনা মোকাবেলায় বন্ধু দেশ ভারতের পাঠানো ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন শনিবার রাত ১০টার দিকে বেনাপোল বন্দরে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে বেনাপোলে প্রবেশ করেছে।
তবে এইবারই প্রথম মতো ভারতীয় কোন রেলওয়ের ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ ১০টি কনটেইনারে ২০০ মেট্রিক টন তরল মেডিকেল অক্সিজেন (এলএমও) ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সরাসরি বেনাপোল বন্দরে এসে পৌছায়। অক্সিজেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান লিনডে বাংলাদেশ লিমিটেড পণ্যচালানের রাজস্ব পরিশোধ করে রাতেই খালাস নেবেন বলে কাস্টমস সূত্র জানায়।
ভারতের অভ্যন্তরে এ পর্যন্ত এই ধরনের ৪৮০টি অক্সিজেন এক্সপ্রেস চালু থাকলেও। ভারতীয় রেলওয়ের অক্সিজেন এক্সপ্রেস বাংলাদেশে এসেছে এই প্রথম। ভারতে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল এই বিশেষ ট্রেন পরিষেবা শুরু করার পর থেকে এই প্রথম প্রতিবেশি কোন দেশে অক্সিজেন এক্সপ্রেস চালু হলো।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, আজ শনিবার টাটা দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের অধীনে চক্রধরপুর বিভাগের কাছে বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরে ২০০ মেট্রিক টন তরল মেডিকেল অক্সিজেন পরিবহনের চাহিদা জানানো হয়। আমদানিকৃত অক্সিজেনের বিপরীতে ১৬ লাখ টাকা রাজস্ব পরিশোধ করে বন্দর থেকে খালাস নিতে হবে। সরকারের কাছে অক্সিজেনের শুল্ক উঠিয়ে দেয়ার জোর দাবি জানান তিনি।
আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঝড়খান্ডের জামশেদপুর থেকে ১০টি কনটেইনারে ২০০ মেট্রিক টন তরল মেডিকেল অক্সিজেন লোডিং করে ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ রাত ১০টায় বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। দেশের চলমান করোনার মোকাবিলায় দেশের হাসপাতালগুলোতে এ অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের কমিশনার মোঃ আজিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে গনমাধ্যকে বলেন, শনিবার রাত ১০টার দিকে ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ এর ১০টি কনটেইনার বেনাপোল বন্দরে এসে পৌছেছে। কাস্টমস ও বন্দরের সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ভারতীয় ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ কন্টেইনার নিয়ে সরাসরি যমুনা সেতু পর্যন্ত পৌছে বাংলাদেশি ট্যাংকারে তুলে দিয়ে তারা আবার ভারতে ফির যাবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন