ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে আগামী ২৮ জুন। এতে লড়তে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন জোহরা ইলাহিয়ান। দেশটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী অভিভাবক পরিষদ অনুমতি দিলে তিনিই হবেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়া প্রথম নারী। দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। রোববার (২ জুন) মনোনয়ন ফরম তোলেন জোহরা। ইরানের সাবেক আইনপ্রণেতা এবং পেশায় চিকিৎসক তিনি।

দেশটির পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন। এসময় পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক কমিটির সদস্যও ছিলেন ৫৭ বছর বয়সী নারী। দুইবার ইরানের পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন জোহরা। তিনি কট্টরপন্থী ঘরানার রাজনীতিবিদও। মনোনয়ন ফরম তোলার পর সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সুস্থ সরকার, সুস্থ অর্থনীতি এবং সুস্থ সমাজ—হলো আমার নির্বাচনী লক্ষ্য। এসময় দুর্নীতির বিরুদ্ধেও লড়াইয়ের ঘোষণা দেন জোহরা। অন্য কট্টরপন্থীদের মতো বাধ্যতামূলক হিজাবের নিয়ম সমর্থন করেন।

গত মার্চে ‘নারী, জীবন ও স্বাধীনতা’ আন্দোলনে জড়িত বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কানাডা। বাধ্যতামূলক হিজাব অমান্যকারী নারীদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর নীতি ও পদক্ষেপ গ্রহণের মাত্র কয়েক মাস পরই প্রার্থিতা ঘোষণা করলেন জোহরা। আসন্ন নির্বাচনে লড়তে রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচারে দেখা গেছে, রাজধানী তেহরানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নিজের ফরম পূরণ করছেন তিনি। পরে ওই টেলিভিশনকে দেওয়া এক বক্তব্যে আহমাদিনেজাদ বলেন, অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। সম্প্রতি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তার মৃত্যুর পর দেশটির নির্বাহীর পদ শূন্য হয়। এবার সেটা পূরণে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।