যেখানে সেখানে শুয়ে থাকছেন যুবক-যুবতীরা

যেখানে সেখানে শুয়ে থাকছেন যুবক-যুবতীরা

এই পৃথিবীতে এমন একটি দেশ চীন যেখানে কঠিন কর্মসংস্কৃতির কারণে নাগরিকদের যেন কোনো বিরাম নেই। কাজের জন্য দৌড়াতে দৌড়াতে সে দেশের যুবক যুবতীদের মনটাও গেছে মরে। কিন্তু সে বিষয়ে ভ্রুক্ষেপ নেই সরকারের। আর তাই কঠিন এই কর্মসংস্কৃতির বিরুদ্ধেই প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন চীনের নতুন প্রজন্ম।

‘স্থিরভাবে শুয়ে থাকা’ বা ‘টাং পিং’ ক্রমেই চিন্তা বাড়াচ্ছে চীনা সরকারের। চীনের সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েইবো-র মাধ্যমে আরও ছড়িয়ে পড়ছে এই প্রতিবাদের ঝড়। প্রতিবাদের উপায় হলো- বিভিন্ন স্থানে স্থির হয়ে শুয়ে পড়ছেন তারা।

আবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাজ ছেড়ে কোনও নির্জন স্থানে একা একা শুয়ে থাকছেন চীনা যুবক-যুবতীরা। তার ছবি তুলে পোস্ট করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেটি দেখেই আরও মানুষ অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। আর যোগ দিচ্ছেন তাদের সাথে।

তেমনই একজন ৩১ বছর বয়সী লুয়ো হুয়াঝং। কারখানার শিফটের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন লুয়ো। এরপর শিঝুয়ানের বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে ১৩০০ মাইল সাইকেল চালিয়ে তিব্বতে চলে গিয়েছেন তিনি।

সেখান থেকেই প্রতিবাদ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দিচ্ছেন তিনি। মূলত চীনে শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে ক্রমাগতই বেড়েছে ‘মিনিমাম ওয়েজ’ কর্মীদের সংখ্যা। সামান্য বেতনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করানো হয় চীনা কর্মীদের।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password