১০৫ দিন কোথায় ছিলেন জিকে শামীম?

১০৫ দিন কোথায় ছিলেন জিকে শামীম?

মাদক ও ক্যাসিনো কান্ডে জড়িত ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের মতো, হাজতবাসে থাকা ঠিকাদার জিকে শামীমের প্রায় ১০৫ দিন ছিল লাপাত্তা। যে নথির মাধ্যমে বেরিয়ে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য সেটিও গায়েব হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল আর কারা কর্তৃপক্ষের নতুন হিসাবে দেখা যায়, কারাগার আর হাসপাতালের মাঝখানে এক দিন গায়েব ছিলেন সম্রাট।

এক সময়ের যুবলীগের সাবেক জনপ্রিয় নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়ার পর শারীরিক অসুস্থতায় বার বার হাসপাতালে ভর্তি হন। কারাগারের হিসাব বলছে, ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে ১৬ আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত ৬ দফায় হাসপাতালে আছেন টানা ২৬০ দিন।

১১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের উপাচার্য গমমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, সম্রাট ১৫ দিন এবং জিকে শামীম ১০ দিন আগে হাসপাতালে এসেছেন। সে হিসেবে সম্রাট ২৪৪ দিন এবং টেন্ডার মোঘল জিকে শামীম ১০৫ দিন কারাগার ছাড়া হাসপাতালের বাইরে অন্য কোথাও ছিলেন।1 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বুধবার (১১ আগস্ট) গনমাধ্যমকে বলেন, একবার চলে গিয়ে আবার ফেরত এসেছেন। হয়তো এর আগে থেকেই আছে। কিন্তু এখন একজন আছে ১০ দিন। অপর একজন আছে ১৫ দিন। অর্থাৎ ১৫ দিন আছেন সম্রাট।

এনিয়ে ১৩ আগস্ট একটি টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রচারের পর ১৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলের উপাচার্য নতুন ব্যাখ্যা দেন। এবার তিনি জানান, সম্রাট ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলছেন, সম্রাট ২০২০ সালে ২৪ নভেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি। এই হিসেবেও রয়েছে একদিনের গড়মিল। যদি তাই হয়, তবে ওই একদিনইবা কোথায় ছিলেন সম্রাট?

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ১৪ আগস্ট বলেন, এখানে একটা প্রিজন সেল আছে। জেলখানা থেকে একটা প্রিজন তৈরি হয় সরকারি হাসপাতালে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর এখানে প্রিজন সেলটি থাকার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। সরকার ইচ্ছা করলে যেকোনো একটা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে। আজ আপনি যে প্রশ্নটি করছেন সেটা আমার জন্য একটা অতিরিক্ত ঝামেলা। এটা আমাদের কোনও বিষয় না এটা প্রিজনের বিষয়। এটা সরাসরি মেনটেইন করে কারাগার।

তিনি আরও বলেন, সম্রাট এখনো অসুস্থ। তিনি সিসিইউতে আছেন। প্রয়োজনে আপনারা দেখে যেতে পারেন। একজন রোগী সুস্থ না হলে তার বিরুদ্ধে একজন ডাক্তার কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না।

১১ আগস্টের বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাইলে ওই উপাচার্য জানান, আগের নথিতে টাইপিং মিসটেক ছিল।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, আমরা ১৫ দিন পর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠিও দিয়েছি। সুস্থ হলে তাকে ফেরত দেওয়ার জন্য। এখানে কোনও অস্পষ্টতা নেই।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password