রোহিঙ্গা সমস্যার মুল কারন যখন রোহিঙ্গারাই

রোহিঙ্গা সমস্যার মুল কারন যখন রোহিঙ্গারাই

সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের পক্ষে আর বেশীদিন রাখা সম্ভব নয় বলে ঘোষণা করেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আসিয়ান সম্মেলনে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের রাষ্ট্রপ্রধান অন হান হ্লিং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের সাথে আলোচনার কথা জানিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর আবদুল মোমেন মিয়ানমারের আগ্রহকে স্বাগত জানালেও এ ব্যপারে রোহিঙ্গাদের সহায়তা চেয়েছেন।

বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকটের কারণ না হলেও বিশ্বসম্প্রদায়ে রোহিঙ্গাদের দাবী আদায়ে বিভিন্ন ফোরামে বৈঠক,আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের ব্যপারে যাবতীয় তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ সহ নানাক্ষেত্রে সহায়তা করে আসছে। ২০১৯ সাল থেকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে দু'বার তারিখ দেয়া হলেও রোহিঙ্গারা এতে সাড়া দেয়নি। একই সাথে উলটো নিজেদের জন্য ৫০০০ টাকা ভাতা,ত্রাণের মান বৃদ্ধি,জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির মত নানা বিষয়ে দাবী জানিয়েছে তারা।

একই সাথে বিশ্বব্যাংক নিজেও রোহিঙ্গাদের চাকুরী প্রদান,ভাতা,অবাধ চলাচল,বিয়ে,শিক্ষা প্রদান করার মত বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকবার প্রস্তাব দিয়েছে যাতে রোহিঙ্গাদের একাংশ প্রত্যক্ষ সমর্থন যুগিয়েছে।

অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন,যুক্তরাষ্ট্র,ব্রিটেন যদি আফগান শরনার্থীদের গ্রহণ করতে পারে তবে রোহিঙ্গাদের গ্রহন কিংবা প্রত্যাবাসনে তাদের অনীহা থাকার ব্যপারটি এখনো রহস্যজনক। এমনকি রোহিঙ্গা শরনার্থী থাকতেও আরো আফগান শরনার্থী নেয়ার ব্যপারে তাদের অনুরোধ ও যথেষ্ট সন্দেহজনক। রোহিঙ্গা সমস্যায় বাংলাদেশ চূড়ান্ত ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে এবং দিচ্ছে।

উল্লেখ্য,  রাখাইনে এখন শান্তি বজায় রয়েছে,রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এটিই হতে পারে উপযুক্ত সময়। বাংলাদেশ একই সাথে রোহিঙ্গা এবং পাকিস্তানী শরনার্থীর বোঝা বহন করছে। পাকিস্তানী শরনার্থীরা বর্তমানে ভোটার আইডি পেয়েছে,চাকুরীর জন্যও তারা আবেদন করতে পারেন।রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশমুখী করার প্রি-প্লানড ধারা চলমান থাকলে বাংলাদেশের নিজের নাগরিকের মানবাধিকার লংঘিত হতে পারে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password