বিয়ের আসরে তালাক দিতে চাওয়ায় গণপিটুনি খেলেন বর

বিয়ের আসরে তালাক দিতে চাওয়ায় গণপিটুনি খেলেন বর
বিয়ের আসরে কনেকে তালাক দিতে চাওয়ায় গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে এক প্রবাসী বর। সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গায় বিয়ের আসরে স্ত্রীকে তালাক দিতে চেয়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন এক প্রবাসী বর। সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের শোলগাড়ি গ্রামে বিয়ে করতে গিয়ে এমন বিপাকে পড়েন পার্শ্ববর্তী আলমডাঙ্গা উপজেলার হাড়গাড়ি গ্রামের আশরাফুল মালিথার ছেলে, প্রবাসী রফিকুল ইসলাম। জানা যায়, দেনমোহরের অর্থ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দর কষাকষি নিয়ে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বরকে উদ্ধার করে থানায় নেয়।

শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে শোলগাড়ি গ্রামের কনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় ছেলে ও মেয়ে পক্ষের কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঝামেলা মিটমাট হয়ে গেছে ।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, প্রায় আড়াই বছর আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আলমডাঙ্গা উপজেলার হাড়গাড়ী গ্রামের আশরাফুল মালিথার ছেলে প্রবাসী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের শোলগাড়ী গ্রামের এক নারীর বিয়ে হয়।

প্রবাসী বর দেশে ফিরে আসার পর শুক্রবার বিয়ের আনুষ্ঠানিক আয়োজন চলছিল। কথা ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেনমোহরের বিনিময়ে সম্পন্ন হবে কাবিন। কিন্তু এতে বাঁধ সাধেন বরপক্ষের লোকজন। তাদের দাবি, ৫ হাজার টাকায় হবে দেনমোহর। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চলে দর কষাকষি ও কথা কাটাকাটি।

এক পর্যায়ে বর রফিকুল বলে বসেন, ‘দরকার হলে দেড় লাখ টাকা দিয়েই কাবিন করবো, কিন্তু আজই টাকা পরিশোধ করে বউ তালাক দিয়ে যাবো।’ তার এ কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে কনেপক্ষ। কনেপক্ষ ও স্থানীয় জনতার রোষাণলে পড়ে বরপক্ষ।

একপর্যায়ে গণপিটুনির শিকার হন বর রফিকুল ইসলাম। পরে ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বরপক্ষকে উদ্ধার করে থানায় নেয়। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাজীব জানান, খবর পেয়ে বিয়ে বাড়ি থেকে বর ও তার স্বজনদের থানায় নেওয়া হয়। পরে রাতে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তারা নিজেরাই মীমাংসা করে নিয়েছেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password