ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের ভয়াবহ হামলায় উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ অসত্য। এ দাবি করেছে পিয়ংইয়ং। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে একে ভিত্তিহীন এবং গুজব হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে।
কিম জং প্রশাসনের দাবি, সংঘাতের দায়ভার এবং সমালোচনা এড়াতে তৃতীয় বিশ্বের দিকে অভিযোগের তীর ছোড়ার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। হামাস-ইসরায়েল সংকটকে ওয়াশিংটনের আরেকটি দায়ভার বলে উল্লেখ করে উত্তর কোরিয়া। কয়েক দিনের গুঞ্জন নিয়ে কড়া জবাব দিলো দেশটি।
অবশ্য, ইসরায়েল-হামাস সংকট শুরুর পরপরই তেল আবিবের কঠোর সমালোচনা করেছে পিয়ংইয়ং। ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সাম্প্রতিক হামলায় উত্তর কোরিয়ায় তৈরি অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে, এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে পিয়ংইয়ং। উত্তর কোরিয়া বলছে, যুক্তরাষ্ট্র মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যাতে বিশ্লেষকরা ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে পিয়ংইয়ংকে যুক্ত করার প্রচেষ্টা উড়িয়ে দিয়েছেন।
উত্তর কোরিয়ার বিশ্লেষক রি কোয়াং-সং কেসিএনএকে বলেন, যা উপেক্ষা করা যায় না তা হলো, মধ্যপ্রাচ্যের সর্বশেষ সংঘাতে যুক্ত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবারও আমাদের প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ অপপ্রচারে লেগে আছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়নহাপ বলছে, অস্ত্র ব্যবহারের তথ্য একটি মার্কিন মিডিয়া আউটলেটের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছিল।
আউটলেটটি একটি ভিডিও ক্লিপকে উদ্ধৃত করেছে, যাতে একজন হামাস যোদ্ধাকে উচ্চ-বিস্ফোরণ ক্ষমতাসম্পন্ন ফ্র্যাগমেন্টেশন রকেট এফ-৭-সহ দেখা গেছে। ইয়নহাপ বলছে, উত্তর কোরিয়ার তৈরি রকেট এর আগে মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি হয়েছে।
যদিও এটা জানা যায়নি, এই ধরনের অস্ত্র সরাসরি হামাসকে সরবরাহ করা হয়েছিল নাকি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দেশের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছিল। চলতি সপ্তাহের শুরুতে উত্তর কোরিয়া বলছে, হামাসের সঙ্গে সংঘাতে ইসরায়েল দায়ী। এই সংঘাত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অবিরাম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পরিণতি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন