সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ০৫

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ০৫
MostPlay

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কর্মিসভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের সঙ্গে বিদ্রোহী গ্রুপের এ সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে। তবে এর পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগ সভাপতি আশিকুর রহমান। শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

বিকেল পাঁচটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জানা গেছে, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. এমাদুল হোসাইন সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে কৃষি, অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদীয় ছাত্রলীগের কর্মিসভা অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন।

নির্ধারিত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে সভার শুরুতে বাধা দেয় বিদ্রোহী গ্রুপ। ওই গ্রুপের নেতৃত্ব দেন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শরীফ হোসাইন, সাব্বির মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসাইন, আকাশ ভূঁইয়া ও প্রান্ত ইসলাম। তাদের বাধার কারণে একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

এ সময় পাঁচটি আবাসিক হল থেকে দুই পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে আহত হন উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন। এ ছাড়া সংঘর্ষের সময় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাব্বির মোল্লা ও তার অনুসারী জুনায়েদ আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলে ঢুকে সভাপতি আশিকুর রহমানের নিয়ন্ত্রণে থাকা কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাব্বির মোল্লা  বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। জুমার নামাজের পর বাইরে গিয়েছিলাম। মাত্র এসেছি ক্যাম্পাসে। পরিস্থিতি কিছুটা থমথমে মনে হচ্ছে। সংঘর্ষ হয়েছে কি না খোঁজ নিয়ে দেখছি।’, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমি এবং সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের অনুমতি নিয়ে আজ (শুক্রবার) কর্মিসভার আয়োজন করেছিলাম।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ইন্ধনে বিদ্রোহী ছাত্রলীগ তাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। আমরা তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। অনেকে আহত হয়েছেন।’, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মনিরুল ইসলাম সোহাগ  বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি।’ সভাপতির অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, ‘না, না, এ রকম কিছু নয়।

এটা ওনার (ছাত্রলীগ সভাপতি) ধারণা। উনিই বলতে পারবেন উনি কেন এটা বলছেন। এখানে তারা সবাই আমার ছাত্র। তাদের সবাইকে সেভাবেই আমি দেখি।’সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহজাহান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। পুলিশ ক্যাম্পাসের বািইরে অবস্থান করছে। এখন পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password