বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির দুই চীনা কর্মকর্তা আটক

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির দুই চীনা কর্মকর্তা আটক

দিনাজপুরের পার্বতীপুর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি-সিএমসি কনসোর্টিয়ামের দুজন চীনা কর্মকর্তাকে আটক করেছে র‍্যাব-১২। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিন কোটি টাকা উদ্ধার করেন র‍্যাব সদস্যরা। র‌্যাব-১২ চীনাদের কাছে টাকা থাকার বিষয়টি স্বীকার করলেও পুলিশ ও খনি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

একাধিক দায়িত্বশীল ও নির্ভরশীল সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা উপজেলা এলাকায় ব্যাব-১২ এর একটি দল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির চীনা কর্মকর্তাদের বহনকারী একটি প্রাইভেটকার আটক করে। আটকের পর গাড়ির ভেতর তল্লাশী করে তিন কোটিরও অধিক টাকা উদ্ধার করে র‍্যাব। এ সময় চীনাদের কাছে বৈধ কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। আটককৃতদেরকে র‌্যাবের কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে সলঙ্গা থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

র‌্যাবের আটককারী দলের প্রধান র‌্যাব-১২ এর সিনিয়র এএসপি প্রণব কুমার বলেন, গত মঙ্গলবার বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে দুজন চীনা কর্মচারী ও বাংলাদেশি ড্রাইভারসহ একটি প্রাইভেটকার আটক করা হয়। এ সময় গাড়ির ভেতরে তিন কোটিরও অধিক টাকা পাওয়া যায়। চীনাদের সাথে কোনো পাসপোর্ট ও কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। 

জিজ্ঞাসাবাদে তারা র‍্যাবকে জানায়, 'কয়লা খনির সরঞ্জামাদি কেনার জন্যই তারা ওই টাকা বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল।' আটককৃতদের সলঙ্গা থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র‍্যাবের ওই কর্মকর্তা।

গতকাল বুধবার সকাল ১১টার দিকে খনির প্রাশাসন বিভাগের ডিজিএম মেহেদী হাসান ও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ গিয়ে মুচলেকা দিয়ে থানা হেফাজত থেকে আটককৃতদের নিয়ে আসে।

সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম ও সলঙ্গা থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, পাসপোর্ট না থাকায় তাদেরকে আটক করা হয়েছিল। চীনাদের কাছে টাকা থাকার বিষয়টি তারা জানেন না। আটককৃত চীনা কর্মকর্তাদের নাম জানতে চাওয়া হলে তারা অপারগতা প্রকাশ করেন।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির প্রশাসন বিভাগের ডিজিএম মেহেদী হাসান বলেন, চীনা কর্মকর্তাদের বহনকারী কারটি ছিল ভাড়া করা। তিনিও চীনা কর্মকর্তাদের কাছে তিন কোটিরও অধিক টাকা পাওয়ার ঘটনাটি স্বীকার করেননি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password