মাদারীপুরে হত্যা মামলায় দুই ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড

মাদারীপুরে হত্যা মামলায় দুই ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড

মাদারীপুরে ইজিবাইকচালক সুলতান বেপারি (৪৫) হত্যা মামলায় দুইভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জনি বেপারি (২২) ও শরিফুল বেপারি (২০)। তারা রাজৈর উপজেলার সুতারকান্দি গ্রামের কুদ্দুস বেপারির ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৯ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটকচর থেকে গাছবাড়িয়া এলাকার সুলতান বেপারির ইজিবাইক ভাড়া করে যাত্রীবেশে ওঠেন জনি বেপারি, শরিফুল বেপারি, শাওন জমাদার ও সাব্বির হাওলাদার নামে চারজন। পরে সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের ত্রিভাগদীর অদূরে আশাপাট সীমান্ত এলাকায় নিয়ে রাত ১০টার দিকে সুলতানকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।

এ সময় ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে চারজনকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। একই সঙ্গে আটক চারজনকে সদর মডেল থানায় নিয়ে যায়।

ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী হাফিজা বেগম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে।

পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ৪ আসামির নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই  বিল্টু দাস।

যুক্তিতর্কের প্রক্রিয়া এবং ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক সোমবার দুইজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। অপর দুই আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের বিচার কার্যক্রম শিশু আদালতে চলমান রয়েছে।

এদিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। অপরদিকে দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজন ও পরিবার।

নিহত ইজিবাইক চালক সুলতান বেপারির স্ত্রী হাফিজা বেগম বলেন, একটি ইজিবাইকের জন্য আমাকে যারা বিধবা করেছে; তাদের মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ায় আমি খুশি হয়েছি। তবে এ রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাই।

মাদারীপুর জেলা ও দায়ের জজ আদালতের পিপি সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, চারজন আসামির মধ্যে দুইজনের ফাঁসি হয়েছে। বাকি দুই আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের বিচার চলমান রয়েছে। শিগগিরই তাদেরও বিচার হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password