রাজধানীর ঢাকার অপরাধ জগতের এক সময়ের ত্রাস ও তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম মুক্তি পেয়েছেন। গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন নব্বইয়ের দশকের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম।
৩ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় তিনি ওই কারাগার থেকে ছাড়া পান। ৪ সেপ্টেম্বর সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে কারাগার কর্তৃপক্ষ। সুইডেন আসলাম ২০০৫ সালের ৩১ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন। এরপর বিভিন্ন কারাগারে তাঁকে রাখা হয়। ২০১৪ সাল থেকে আসলাম কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন।
মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি বের হয়ে যান বলে নিশ্চিত করেছেন জেলার লুৎফর রহমান। প্রায় ২০ বছর কারাবাসে ছিলেন সুইডেন আসলাম। ২০০৫ সালের ৩১ জানুয়ারি তিনি গ্রেপ্তার হন। এরপর তাকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে রাখা হয়। কাশিমপুর কারাগারের জেলার লুৎফর রহমান বলেন, ২০১৪ সাল থেকে সুইডেন আসলাম কাশিমপুর কারাগারে বন্দি ছিলেন। জামিনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রাতেই তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
সুইডেন আসলামের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার ছাতিয়ার এলাকার। বিভিন্ন সময়ে সুইডেন আসলামের নামে ২২টি মামলা হয়, যার ৯টিই হত্যা মামলা। এক সময় ঢাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন সুইডেন আসলাম। রাজধানীর আন্ডারওয়ার্ল্ড জগতের অন্যতম নিয়ন্ত্রক ছিলেন তিনি। পালিয়ে কিছুদিনের সুইডেন চলে যান। সেখান থেকে ফেরার পর তার নামের আগে সুইডেন বসে।
তার বিরুদ্ধে সর্বশেষ মামলা হয় তেজগাঁওয়ের যুবলীগের নেতা গালিব হত্যার ঘটনায়। গালিব খুন হন ১৯৯৭ সালের ২৩ মার্চ। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন। বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসে অপরাধ জগতের ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর প্রকাশ করে। সেই তালিকায় সুইডেন আসলামও ছিলেন।
সুইডেন আসলামের চাঞ্চল্যকর অপরাধের ঘটনা প্রথম সামনে আসে ১৯৮৬ সালে। ফার্মগেটের পূর্ব রাজাবাজারে স্কুলের সামনে মায়ের হাত ধরে থাকা কিশোর শাকিলকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এরপর থেকে একের পর এক খুন ও অপরাধের ঘটনায় নাম আসতে থাকে সুইডেন আসলামের।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন