ভিক্ষুকের পরিমাণ বাড়ছে দিন দিন, আদায় হয়না ঈদের হক

ভিক্ষুকের পরিমাণ বাড়ছে দিন দিন, আদায় হয়না ঈদের হক
MostPlay

আজ ১৩ই মে বৃহস্পতিবার। দেখতে দেখতে শেষ হয়ে এলো রোযা। ঈদের খুশি সবার মাঝে বিতরণের সময়ও শেষার্ধে। তবে এই ঈদ সবার জন্যই যে সমান খুশির হয় তা বলা কঠিন। 

সামর্থবানেরা নতুন জামা জুতায় আর ভালো খাবার খেয়ে ঈদ পালন করলেও এসকল সুখ থেকে প্রায় বঞ্চিত হত-দরিদ্র এবং ভিক্ষুক সমাজ। 

রাস্তাঘাটে এখন প্রায় স্থানেই দেখা যায় তারা এই ঈদের যাকাত - ফেতরার টাকা বা ভিক্ষার জন্য সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকেন। তাদের মাঝে ছোট শিশু থেকে শুরু করে কম বয়সী, মাঝ বয়সী, অতি বৃদ্ধ, অক্ষম, সক্ষম যেকোনো প্রকার ভিক্ষুকের দেখা মেলে। 

করোনাকালে সকলেরই অবস্থা খারাপ ফলে আরও বেড়ে গেছে ভিক্ষুকের সংখ্যা। যদিও বাংলাদেশকে অনেক আগেই ভিক্ষুকমুক্ত দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিলো তবে কখনোই বাংলাদেশ ভিক্ষুকমুক্ত ছিল না। বিভিন্ন বড় রাস্তাগুলো থেকে ভিক্ষুক উচ্ছেদ হয়েছিল মাত্র কিন্তু ঢাকার ছোট ছোট অলিতে-গলিতে ঠিক ই ছিল ভিক্ষুকের প্রভাব। তারপর করোনা এসে যেনো ভিক্ষুকের পরিমাণ আরো বাড়িয়ে দিলো। কাজের ক্ষেত্রগুলোর পরিমাণ কমে যাওয়ায় অনেকেই রাস্তায় হাত পেতেছেন সামান্য সাহায্যের জন্য।

তবে করোনাকাল ছাড়াও আগে যখন মানুষ ভিক্ষা করতো তখন সকলেই যে নিরুপায় হয়ে ভিক্ষা করতো ঠিক তা নয়। তাদের মাঝে অনেকেই ভিক্ষাকেই তাদের পেশা বানিয়ে নিয়েছিল। অনেক সক্ষম দরিদ্র নারী-পুরুষ ও কাজের সন্ধান না করে ভিক্ষাকেই বেছে নিয়েছিল তাদের পেশা হিসেবে। এমন কি ছোট ছোট বাচ্চাদেরও সেই ট্রেনিং ই দেয়া হয়েছে। আজও তার ব্যতিক্রম নেই। বরং করোনার এই দুঃসময়ে আরো বেড়ে চলেছে ভিক্ষুকের পরিমাণ। বিডিটাইপের নিজস্ব প্রতিবেদকেের স্বচক্ষ দর্শনে তা -ই উঠে এসেছে।

তবে ভিক্ষুকের পরিমাণ বাড়ার পিছনে শুধু যে তাদের মন- মানসিকতা ও অক্ষমতা দায়ী তা নয়, ভালো সক্ষমতাসম্পন্ন জনগণ এবং সরকারও দায়ী। আমাদের দেশে এমনও অনেক ধনী আছে যাদের লাখ- কোটি টাকা যাকাত-ফেতরা আসলেও সঠিক পরিমাণে আদায় করেন না গরীবের হকের এই টাকা। যা দিয়ে হয়তো অনেক গরীবকেই কর্মক্ষম করা সম্ভব হতো। আর সরকারও তাদের মতো অসহায়দের বিষয়ে বিশেষ কিছু ভাবেনা।ফলে দেশের একদিকে সম্পদ কুক্ষিগত হচ্ছে, আরেকদিকে দিন দিন বেড়েই চলেছে ভিক্ষুকের পরিমাণ।

প্রতিবেদক,

সুমাইতা লাইছা বুশরা

বিডিটাইপ নিউজ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password