সন্তানের জন্য দুধ কিনতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা

সন্তানের জন্য দুধ কিনতে না পেরে  কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে কঠোর লকডাউন। কর্মহীন হয়ে পরছে হাজারো মানুষ। তেমনি এক কর্মহীন বাবা তার ২২ দিন বয়সী শিশু সন্তানের দুধ কিনতে না পেরে লোকালয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। যশোরের শার্শা উপজেলার নিজামপুর বাজারে এ চিত্র দেখা যায়। বুধবার (৭ জুলাই) যশোরের শার্শা উপজেলার নিজামপুর বাজারে এ চিত্র দেখা যায়। ওই ব্যক্তি নাম (শাহআলম) তিনি একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক।

লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তার আয়ের পথটি বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয়রা সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরের দিকে উপজেলার নিজামপুর বাজারে শাহআলম লোকালয়ে অনবরত কান্না করতে করতে বলেন, আমি একজন সিএনজিচালক। আমার পরিবারে আমিই আয়ের একমাত্র ব্যক্তি। আমার ৪ সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ৬ সদস্যের সংসার। দীর্ঘদিন আয়ের পথ বন্ধ থাকলেও থেমে নেই সংসারের খরচ। সরকারের কঠোর লকডাউনে গত ২৩ জুন থেকে সড়কে গাড়ি চালানো নিষেধ রয়েছে। এরপর থেকে আর গাড়ি চালাতে পারিনি। তিনি বলেন, এখন আমি সংসারের ব্যয় চালাতে ব্যর্থ হয়ে পড়েছি।

কয়েকদিন অনেকের কাছ থেকে ধার করে বাজার করলেও এখন আর তাও পাচ্ছি না। ঘরে আমার ২২ দিন বয়সের একটা সন্তান রয়েছে। তাকে ২ দিন পর পর ২৫০ টাকা দিয়ে দুধ কিনে খাওয়াতে হয়। কিন্তু বর্তমান আমার আয় না থাকায় আমি ব্যর্থ। অনেকের কাছে টাকা ধার চেয়েছি, কেউ আমাকে সহযোগিতা করেনি।

মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে আমাকে আজও কোনো সহযোগিতা করা হয়নি। চাইলে দিবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে অনেকবার কিন্তু ফল পাইনি। তাকে সহযোগিতার জন্য তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে (০১৯৭০৮৭০৮৭১) যোগাযোগ করতে পারেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাটি শোনার পর তাকে ডেকে বাচ্চার দুধ কেনার জন্য আমি তাকে কিছু অর্থ দিয়েছি। পরবর্তীতে তাকে আরো সহযোগিতা করা হবে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজাকে জানালে তিনি ওই ব্যক্তির মোবাইল নম্বর ম্যাসেজ করে দিতে বলেন। তিনি বলেন, আমি তার সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password