হাসপাতালেও অনশন পালন করছেন ঢাবির সেই ছাত্রী

হাসপাতালেও অনশন পালন করছেন ঢাবির সেই ছাত্রী
MostPlay

গত ৮ অক্টোবর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে ধর্ষণে জড়িতদের বিচারের দাবি অনশন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক ছাত্রী। সম্প্রতি তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে তার সহপাঠিরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেও অনশন পালন করছেন বলে দাবি করেছেন ওই ছাত্রী।

ধর্ষণের মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর, হাসান আল মামুনসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে অনশনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীর সবশেষ অবস্থা জানতে শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ দাবি করেন।ওই ছাত্রী জানান, আজ অনশনের ১৬তম দিন। আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুরাতন বিল্ডিংয়ের তিন তলায় কেবিনে চিকিৎসাধীন। আমি এখনও অনশনে আছি। শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছি।

এর আগে রোববার (১৮ অক্টোবর) রাতে জ্বরে আক্রান্ত হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ঢাবির ওই ছাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২১ ও ২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লালবাগ ও কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণ, অপহরণ ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে চরিত্রহননের অভিযোগে হাসান আল মামুন, নুরুল হক নুর এবং তাদের চার সহযোগীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা করেন এই ছাত্রী।

প্রথম মামলায় প্রধান আসামি করা হয় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হাসান আল মামুনকে। এই অভিযোগ ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করলেও মামলার পর ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাকে।

মামলার অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। নূর ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা ও কর্মী আবদুল্লাহ হিল বাকি।

ধর্ষণের মামলা দায়েরের দুই সপ্তাহ পরেও আসামিদের কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় গত ৮ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে অনশনে বসেন ওই ছাত্রী।তখন তিনি বলেছিলেন, “ধর্ষকরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। মামলা তদন্তের স্বার্থে আমি একাধিকবার থানায় যোগাযোগ করেছি। তারা বলেছেন, আসামি ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য শক্তির বলে আসামিরা গ্রেপ্তার হচ্ছে না।”

মামলার এজহারে ওই ছাত্রীর ভাষ্য, একই বিভাগে পড়া এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের কাজে থাকার কারণে হাসান আল মামুনের সঙ্গে তার ‘প্রেমের সম্পর্ক’ গড়ে ওঠে। এর সুযোগ নিয়ে মামুন চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি তার লালবাগের বাসায় নিয়ে তাকে ‘ধর্ষণ’ করেন। পরে সোহাগও তাকে ‘ধর্ষণ করেন’ বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।

এজাহারে বলা হয়, এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ওই তরুণী নূরের সঙ্গে দেখা করেন। নূর তাকে প্রথমে ‘মীমাংসা’ করে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও পরে ‘বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করে অপপ্রচার চালিয়ে সম্মানহানি করার’ হুমকি দেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password