জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নিকৃষ্ট উদাহরণ: জাগপা

জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নিকৃষ্ট উদাহরণ: জাগপা

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে দেয়া রাষ্ট্রীয় খেতাবসমূহ জামুকা কর্তৃক বাতিলের সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নিকৃষ্টতম উদাহরণ বলে অবিহিত করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)’র সভাপতি, ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস. এম. শাহাদাত।আজ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জাগপা নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে জাগপা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। আজ যারা দলীয় লেজুরবৃত্তি করতে গিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে তাঁর খেতাব বাতিলের কথা বলছেন ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ জিয়াউর রহমানের কন্ঠস্বর শুনেই তাঁরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমান বীর উত্তম খেতাবের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেন নাই। তিনি আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে মুক্ত করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বেরিয়ে এসে যুদ্ধ করেছেন। আজ যাঁরা তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলেন তাঁদের অনেককেই রণাঙ্গনে দেখা যায়নি, জীবন বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল।”

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধু হত্যার ক্ষেত্র তৈরি কারীরা অনেকেই আজ এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন। অথচ বঙ্গবন্ধু হত্যার দোহাই দিয়ে জিয়াউর রহমানকে খাঁটো করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। যত ষড়যন্ত্রই করা হোক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে এদেশের মানুষের মন থেকে মুছে ফেলা যাবে না। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন মানুষের অন্তরের মনিকোটায় জিয়াউর রহমান থাকবেন।”

জাগপা নেতৃবৃন্দ সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, “রাজনৈতিক কাঁদাছোরাছুরি বন্ধ করুন। ইতিহাস যাকে যে স্থানে ঠাঁই দিয়েছে তাঁকে সেখানেই থাকতে দিন। অন্যথায় দেশের মানুষ আপনাদের কখনো ক্ষমা করবে না।”

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password