বিজিবিকে ত্রিমাত্রিক শক্তিশালী বাহিনীতে রূপান্তরিত করা হয়েছে

বিজিবিকে ত্রিমাত্রিক শক্তিশালী বাহিনীতে রূপান্তরিত করা হয়েছে
MostPlay

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবিকে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে শক্তিশালী করবার কাজ চলমান রয়েছে। দেশের সীমান্তবর্তী হাই রিস্ক এলাকাগুলোকে সনাক্ত করে সেখানে হাই ভ্যালিউ সফিসটিকেটেড সার্ভেলেন্স,রাডার সিস্টেম,সোলার লাইট এবং ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা দ্বারা মনিটরিং করার পাইলট প্রকল্প চলমান এবং বাস্তবায়িত হয়েছে। একই সাথে ভারত এবং মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী ৪৪২৭ কিমি বিস্তীর্ণ এলাকায় আরো অধিক বিওপি(বর্ডার আউটপোস্ট) নির্মাণ,সীমান্তবর্তী এলাকায় পাকা সড়ক নির্মাণের কাজ ও চলমান রয়েছে বিজিবি’র সার্বিক উন্নয়ন সুষমভাবে চলমান রাখার উদ্দেশ্যে ২০৪১ সালকে টার্গেট করে বিজিবিকে একটি অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

একই সাথে বিজিবিকে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে উন্নীত করার জন্য ইতিমধ্যে এভিয়েশন উইং সংযোজিত হয়েছে। ভাংগা এবং রাস্তাহীন এলাকায় চলাচলের জন্য এটিভি ও অত্যাধুনিক এপিসি, রায়ট কন্ট্রোল ভেহিক্যাল, ভেহিক্যাল স্ক্যানার ও দ্রুতগামী জলযান সংযোজন করা হয়েছে। একই সাথে অতি সম্প্রতি অত্যাধুনিক এন্টি ট্যাংক গাইডেড উইপন সংযোজন করা হয়েছে। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী টেকনাফ এবং সেন্ট-মার্টিনেও নাফ নদীতে বাংলাদেশ অংশে এটিজিএম মোতায়েন করা রয়েছে। বিজিবিতে আরো জনবল নিয়োগের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে বিজিবিকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণের কলেবর বাড়াতে চুয়াডাঙ্গায় আরেকটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এয়ার উইং কে শক্তিশালী করতে বিজিবির নিজস্ব পাইলট তৈরী এবং প্রয়োজনে ড্রোন এবং আরো ২ টি হেলিকপ্টার ক্রয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। একই সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন অরণ্যে চোরাকারবার এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে আরো বিওপি স্থাপিত হবে। সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালান দমনে বিজিবি এখনো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চোরাচালান দমন হলে সীমান্তে মৃত্যুর হার শুন্য শতাংশে নেমে আসবে বলেও বিশ্বাস করে সচেতন মহল। তবে এর জন্য সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password