সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় করে শেখ রেহানাকে দায়িত্ব দিতে হবে

সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় করে শেখ রেহানাকে দায়িত্ব দিতে হবে

সুনামগঞ্জে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, এই তদন্ত কমিশনে একজন বিচারপতি থাকবেন, একজন সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ থাকবেন, তৃতীয়জন হচ্ছেন আমাদের সাবেক সেনা অধ্যক্ষ এম এ করিম। এই তিন সদস্যের কমিটিকে সাত দিন সময় দেওয়া হোক, তদন্তের পর তারা যা সুপারিশ করবেন, তা পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করতে হবে। যেন ভবিষ্যতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আর কোনো আঘাত না আসে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় যেসব মসজিদের মাইক ব্যবহার হবে, সেই সব মসজিদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে হবে। কারণ মসজিদ অন্যায় আচরণের জন্য না। ইসলাম শান্তির ধর্ম। মানুষের মঙ্গল আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

ধর্মের নামে কোনো অধর্ম চলতে পারে না জানিয়ে তিনি বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কেও তো আমাদের খোদাই তৈরি করেছেন। আমার ভাইকে মারার অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি। তাই এ বিষয়ে পরিষ্কারভাবে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অনতিবিলম্বে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে বাড়ি করে দিতে হবে। 

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় যে ঘটনা ঘটেছে তা প্রধানমন্ত্রীর জন্য অত্যন্ত লজ্জার। উনি অন্য কাজে এত বেশি ব্যস্ত যে এসব ঘটনা চোখে পড়ে না। তাই আমাদের একটি সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় করতে হবে এবং সেই সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব মুজিবকন্যা শেখ রেহানাকে দিতে হবে। তাহলে সেটা আওয়ামী লীগের জন্য ভবিষ্যতে সুবিধা হবে।

এ সময় সুনামগঞ্জের নোয়াগাঁও পরিদর্শনের প্রত্যক্ষ বিবরণ তুলে ধরেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password