খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল জব্দ

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল জব্দ
MostPlay

ফরিদপুরের সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের রামখন্ড এলাকা থেকে সরকারি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ৪শ কেজি চাল জব্দ করেছে ডিবি পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিক্তিতে অভিযান চালিয়ে এ চাল গুলো জব্দ করা হয়। চাল উদ্ধারের আগে খাদ বান্ধব কর্মসূচির বস্তা পাল্টিয়ে অন্য বস্তায় চাল গুলো রাখা হচ্ছিল। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফকির মো. বেলায়েত হোসেনের হেফাজতে থাকা চাল গুলো রফিফ খাঁ নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। রফিক খাঁ ইউপি চেয়ারম্যান ফকির মো. বেলায়েত হোসেনের নিজস্ব লোক হিসাবে পরিচিত। পেশায় সে ভ্যানচালক।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির মো. বেলায়েত হোসেন সরকারী খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির শতাধিক বস্তা চাল আত্মসাত করে বিভিন্ন বাড়িতে রেখে গোপনে বিক্রি করে দিচ্ছে এমন সংবাদের ভিক্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে এসআই শাহীনের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল কানাইপুর ইউনিয়নের রামখন্ড এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় চেয়ারম্যানের বাড়ীর পাশে রফিক খাঁর বাড়িতে গিয়ে সরকারি বস্তা ফেলে অন্য বস্তায় চাল ঢোকানোর সময় ৪শ কেজি চাল জব্দ করা হয়।

এসময় রফিক খাঁ ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ডিবি পুলিশ পরবর্তীতে বিভিন্ন বাড়ীতে অভিযান চালানো হলেও সেখানে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির সরকারি কোন চালের বস্তা পাওয়া যায়নি। ডিবি পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে অন্য বাড়ি গুলো থেকে চাল সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। চাল উদ্ধারের খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন এসিল্যান্ড শাহ মোহাম্মদ সজিব, সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ।

তাদের উপস্থিতিতে ডিবি পুলিশ চাল গুলো জব্দ করে। স্থানীয়রা জানান, চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি চাল আত্মসাত করে বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে আসছিল। ইউপি চেয়ারম্যান ফকির মো. বেলায়েত হোসেন পলাতক থাকায় তার মন্তব্য জানা যায়নি। ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগ নেতা ও কানাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফকির মো. বেলায়েত হোসেন দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিংসহ কয়েকটি মামলার আসামি হিসাবে বেশকিছু দিন যাবত পলাতক রয়েছেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password