আমের কোন অংশ খেলে আপনার যৌনশক্তি বৃদ্ধি পাবে?

আমের কোন অংশ খেলে আপনার যৌনশক্তি বৃদ্ধি পাবে?

কাঁচা আম নাকি পাঁকা আম? আমের কোন অংশ খেলে আপনার যৌনশক্তি বৃদ্ধি পাবে? আমের সব উপকার গুলো এক নজরে দেখে নিন। আম হচ্ছে অনেক পুষ্টি গুণে ভরা একটি মজার ফল, কি কি পুষ্টিগুণে ভরপুর আম জেনে নেয়া যাক । আম না খেলে আমাদের শরীর কিন্তু এত সব পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হবে।

পাকা আম সবার পছন্দের তালিকায় রয়েছে। স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় ফল আম। শুধু স্বাদ আর গন্ধেই নয়, আম প্রচুর পুষ্টিগুণে ভরা। এই মৌসুমি ফলটিতে রয়েছে শরীরের জন্য উপকারী নানান উপাদান। পুষ্টিবিদরা বলেন, আম নানান পুষ্টি উপাদানে ভরপুর যা শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি কর্মশক্তি যোগাতেও সহায়তা করে।

তাই করোনার সময়কালে সবারই বেশি বেশি আম খাওয়া উচিত। পাকা আমে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে আয়রণ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি, রিভোফ্লেভিন, থায়ামিন, খনিজ লবণ, শ্বেতসার এবং ভিটামিন বি-১ ও বি-২। আমে প্রায় ২৫ রকমের বিভিন্ন কেরাটিনোইডস উপকারী ব্যাকটেরিয়া আছে যা আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেমকে সুস্থ ও সবল রাখে সবসময়। উদ্ভিজ্জ উপাদান থেকে সরাসরি ভিটামিন পাওয়া যায় না, বিটা-ক্যারোটিন ভিটামিন এ‘র কাজ করে।

এছাড়া রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি, যা শরীরে শক্তি তৈরি করে। আমের আয়রন, আঁশ, পটাশিয়াম ও খনিজ উপাদান শরীর সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে।

পাকা আমের উপকারীতাঃ

• ক্যারোটিন চোখ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, সর্দি-কাশি দূর করে। কাঁচাআমে ৯০ মাইক্রোগ্রাম এবং পাকাআমে ৮,৩০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন থাকে বলে জানা যায়।

• আম মানুষকে কর্মশক্তি যোগায়। এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচাআম ৪৪ কিলোক্যালোরি ও পাকাআমে ১০ ক্যালরি শক্তি প্রদান করে।

•আমে আরও রয়েছে আয়রন যা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে। কাঁচা আমে ৫.৪ ও পাকা আমে ১.৩ মি.গ্রা আয়রন থাকে। • ক্যালসিয়াম হাড় সুগঠিত করে, হাড় ও দাঁতের সুস্থতা বজায় রাখে। কাঁচা আমে ১০ মি.গ্রা ও পাকাআমে ১৬ মি.গ্রা ক্যালসিয়াম থাকে।

• আম থেকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ভিটামিন সি স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। দাঁত, মাড়ি, ত্বক ও হাড়ের সুস্থতা রক্ষা করতেও অনেক বেশি সাহায্য করে ভিটামিন সি। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা আমে ৬৩ মি.গ্রা ও পাকা আমে ৪১ মি.গ্রা ভিটামিন সি থাকে।

• আমে রয়েছে ভিটামিন বি-১ ও বি-২। কাঁচা আমে ০.০৪ মি.গ্রা ও পাকা আমে ০.১ মি.গ্রা ভিটামিন বি-১ থাকে। কাঁচাআমে ০.০১ মি.গ্রা ও পাকাআমে ০.০৭ মি.গ্রা বি-২ রয়েছে।

• বিভিন্ন খনিজ উপাদানের উৎসও আম। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা ও পাকা আমে ০.৫ গ্রাম খনিজ লবণ থাকে।

• আমে কিছু পরিমাণে প্রোটিন ও ফ্যাট রয়েছে । প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচাআমে ০.৭ গ্রাম প্রোটিন ও ০.২ গ্রাম ফ্যাট রয়েছে যা শরিরের জন্য খুবি উপকারি। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকাআমে ১ গ্রাম প্রোটিন ও ০.৭ গ্রাম ফ্যাট রয়েছে।

• আমে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ শ্বেতসার। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচাআমে ১০.১ গ্রাম শ্বেতসার ও প্রতি ১০০ গ্রাম পাকাআমে ২০.০০ গ্রাম শ্বেতসার পাওয়া যায় সবসময়।

• আমে বিদ্যমান পটাশিয়াম রক্তস্বল্পতা দূর করে ও হৃদযন্ত্র সচল রাখতে সাহায্য করে। এই ফলের আঁশ, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ যা হজমে সহায়তা করে থাকে।

• টারটারিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড , সাইট্রিক অ্যাসিড শরীরের অনেক রোগ থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।

• এছাড়াও ক্যারোটিন, আইসো-কেরোটিন, এস্ট্রাগ্যালিন, ফিসেটিন, গ্যালিক এসিড ইত্যাদি এনজাইম ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে অনেক বড় ভুমিকা রাখে

• আম কোলন ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, রক্তস্বল্পতা ও প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে।

• আমের ভিটামিন সি ত্বকের লোমকূপ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, এবং ব্রণের ও ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। তাছাড়া আম ত্বক উজ্জ্বল করতেও সহায়কতা করে।

• পাকা আম আঁশসহ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

• আমে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই থাকে। যা দৈনদিন আমাদের যৌন জীবনকে আরও উন্নত করে তোলে।

•“রসালো ফল আম দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমন মিষ্টি। তাই এর প্রতি বরাবরই মানুষের আকর্ষণ বেশি। তবে ডায়াবেটিস রোগীর আম খাওয়ায় সতর্ক থাকা উচিত।” বেশি বেশি আম খায়, আমের পুষ্টিগুণ কাজে লাগায়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password