বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামের এক কিশোরীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ ও তা ফেসবুকে ভাইরালের ভয় দেখিয়ে কয়েক দফায় ধর্ষণ এবং অপহরণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ফয়সাল (২২) জেলার ২ নম্বর আমলি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
একই আদালত অপর আসামি সাইফুল ইসলাম ইমনকে দুইটি মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। অন্যদিকে দুই মাস তিন দিন পর অপহূত ঐ কিশোরীকে সাভারের একটি বাসা থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। তবে ঐ সময় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান শিকদার।
কিশোরীকে ধর্ষণ, বিবস্ত্র করে ভিডিও চিত্র ধারণ এবং অপহরণর অভিযোগে এনে বৃহস্পতিবার ঐ কিশোরীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে এলাকার রাসেল (২৫), জোবায়ের (২৪), সাইফুল ইসলাম ইমন (২৩) এবং ফয়সাল (২২) নামের চার জনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় দুইটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ রাতেই সাইফুল ইসলাম ইমন ও মো. ফয়সালকে গ্রেফতার করে। অপর দুই আসামিকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।
নির্যাতনের শিকার কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, ফয়সাল ও ইমন তার মেয়ে মাদ্রাসায় পড়া অবস্থায় মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করত। এক পর্যায়ে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে একদিন রাসেল ও ইমন আমাদের বাড়িতে এসে আমাকে কৌশলে কোমল পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে। এ অবস্থায় অস্ত্রের মুখে আমার মেয়েকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে। পরে এক দোকানিকে ডেকে এনে জোরপূর্বক তাকে ও মেয়েকে বিবস্ত্র অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে তারা।
পরে ঐ ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তারা মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বাধ্য হয়ে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পরও তাদের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাইনি। বিয়ের পরে মেয়েকে দুইবার অপহরণ করে আসামিরা। দুইবারই তাদেরকে টাকা দিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করি আমি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন