ঘোড়াশালে দেশের সর্ববৃহত সারকারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঘোড়াশালে দেশের সর্ববৃহত সারকারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
MostPlay

নরসিংদী প্রতিনিধি : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলি কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে আজ ২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে নরসিংদীতে দেশের সর্ববৃহত বার্ষিক ১০ লাখ মেট্রিকটন ক্ষমতা সম্পন্ন ঘোড়াশাল ইউরিয়া ফাটিলাইজার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন। এছাড়াও একি সমসময় দেশের বিভিন্ন স্থানে আরো ৪ টি সমাপ্ত প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। এ ছাড়া কর্ম পরিবেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং কর্পোরেশনের কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে ৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পরিবেশবান্ধব ১৪ তলা বিশিষ্ট বিসিক ভবন নির্মান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে এই টেলি কনফানেন্সে যোগ দেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী এ্যাড নূরুল মজিদ হুমায়ন মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন নরসিংদী -২ পলাশের সাংসদ ডা: আনোয়ারুল আশরাফ খাঁন দিলীপ, নরসিংদী পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, পিপিএম, জেলা প্রশাসক, আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খাঁন। 

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, পলাশ উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন, নির্বাহী অফিসার ফারহানা আফসানা চৌধূরী, ভূমি সহকারী অফিসার সিলভিয়া স্নিগ্ধা ও পলাশ থানা ইনচার্জ মোহাম্মদ ইলিয়াস, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কারীউল্লাহ্ সরকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা আক্তার, স্থানীয় বিভিন্ন ইউপি: চেয়ারম্যান, ফার্টিলাইজার প্রজেক্ট কর্মকর্তাসহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিল্পপ্রতিমন্ত্রী কামাল আহম্মেদ মজুমদার, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিআইসি চেয়ারম্যান শাহ্ ইমদাদুল হক, প্রজেক্ট ডিরেক্টার জিয়াউর রহমান মল্লিক এবং বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদুত ইতো নাওয়াকি বক্তব্য দেন। 

উল্ল্যেখ এশিয়ার সর্ববৃহৎ সার কারখানা নির্মাণ হচ্ছে নরসিংদী জেলার পলাশে। ইউরিয়া সারের ঘাটতি মিটাতেই নির্মিত হচ্ছে দেশের সবচে বড় সার কারখানা। এটি বর্তমান সরকারের মেগা প্রকল্পের একটি। ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা প্রজেক্ট। যার দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। আর বছরে হবে ৯ লক্ষ ২৪ হাজার মেট্রিক টন।

এই প্রজেক্টির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। কোভিডের কারণে কিছুদিন বিদেশি শ্রমিক কম ছিল এখন কোভিড কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় বিদেশিরা আসতে শুরু করেছে। দেশি এবং বিদেশি শ্রমিক মিলে একসঙ্গে দ্রুত কাজ করছে। বর্তমানে সরকারকে ইউরিয়া সার আমদানিতে প্রতি বছর ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়, এটি উৎপাদনে আসলে আর তা দিতে হবে না।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password