পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সবকিছুর দাম

পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সবকিছুর দাম
MostPlay

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির ডিম ডর্জন ১২৫ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। বাজারে চালের দাম প্রকারভেদে বেড়েছে প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে আটা, ময়দা, ভোজ্যতেল ও শুকনা মরিচ,আদা-রসুন, চিনি ও এলাচ এর দামও। ব্যবসায়ীরা বলছেন,জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ফলে সকল প্রকার পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব বাজারে পড়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গিয়েছে, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বেড়েছে পরিবহন খরচ। আর সেই অজুহাতে সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেড়েছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। বয়লার মুরগি কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। মূল্য তালিকা না দিয়ে নিজেদের মতো বাড়িয়েছে সোনালি মুরগির দামও। গত সপ্তাহে বয়লার মুরগির দাম ছিল ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা আরে সপ্তাহে বরাবর ২০০ টাকা। প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে মোটা, সরু সব ধরনের চালের দাম।

মানভেদে প্রতি কেজি চালের দাম পাইকারিতে ৩ থেকে ৪ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৫ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে বেঁচে থাকার জন্য জরুরি এ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা। কয়েক হাত ঘুরে এই চাল খুচরা ক্রেতারা কিনতে গিয়ে উঠছে নাভিশ্বাস। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যার কারণে এবছর হাওড়ে ধান উৎপাদন কম হয়েছে। অন্যান্য এলাকায়ও প্রকৃতিক দুর্যোগে ফলন বিঘাপ্রতি ২ থেকে ৪ মণ কমেছে।

ফলে বোরো মৌসুমে চালের উৎপাদন কম হওয়াকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সবজি,শুটকি ও মাছের দাম। জ্বালানি ও ডলারের মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে বেড়েছে আটা-ময়দা, চিনি, ভোজ্যতেল সহ আমদানি করা সকল পণ্যের দাম। বেঁচে থাকার জন্য জরুরী ও খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের ক্রেতারা। এদিকে স্বস্তি নেই ফলের বাজারেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের ফল।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password