পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে প্রতিদিন দুটি করে পার্সেল ট্রেন চলাচল করছে। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সকালে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশি বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সাংবাদিককে এ তথ্য জানান।পাকশি বিভাগীয় বাণিজ্যিক দফতর থেকে জানা যায়, প্রথম পার্সেল ট্রেনটি খুলনা থেকে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে যাবে এবং ভোর সাড়ে ৫টায় চিলাহাটি স্টেশনে পৌঁছবে। ট্রেনটি যশোর, কোটচাঁদপুর, সবদারপুর, চুয়াডাঙ্গা, নাটোর, আক্কেলপুর, জয়পুরহাটসহ মোট ২৪টি স্টেশনে থামবে।
চিলাহাটি থেকে খুলনা আসতে ট্রেনটি ২৮টি স্টেশনে থামবে। শনি, সোম ও বুধবার খুলনা থেকে ও রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার চিলাহাটি থেকে ট্রেনটি ছাড়বে।আবার মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে আরও একটা পার্সেল স্পেশাল ট্রেন দুপুর ১টায় ছেড়ে রাত ৩টায় ঢাকায় পৌঁছাবে। এটি ঢাকা থেকে ভোর ৬টায় ছেড়ে রাত সাড়ে ৮টায় পঞ্চগড় পৌঁছাবে।আপ এবং ডাউন উভয় পথে ২১টি স্টেশনে ট্রেনটি থামবে। সপ্তাহে শনি, সোম ও বুধবার পঞ্চগড় থেকে এবং রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ট্রেনটি চলাচল করবে।
খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটির দুটি কোচ ঢাকাগামী পণ্যের জন্য নির্ধারিত থাকবে। এই কোচ দুটি ঈশ্বরদী স্টেশনে কেটে রাখা হবে। পরে পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী ট্রেনে সংযুক্ত হয়ে ঢাকা চলে যাবে। ফলে খুলনা থেকে ঢাকা রুটে সরাসরি কোনো পার্সেল ট্রেন চলাচল না করলেও যশোর-চুয়াডাঙ্গার জনগণ ঢাকায় পণ্য প্রেরণ করতে পারবে। যদি কৃষকের পণ্যের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকে তবে টাইম টেবিলে উল্লিখিত স্টেশনের বাইরেও ট্রেনগুলোর স্টপেজ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশি বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিন সাংবাদিককে জানান, লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে যেন কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সাশ্রয়ী দামে ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে গত বছরের ন্যায় এবারও পার্সেল স্পেশাল ট্রেন চালু করল। গত বছর পার্সেল স্পেশাল ট্রেন ও ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন