খাগড়াছড়ির পানছড়িতে জাতীয় কৃমিনাশক সপ্তাহ পালিত

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে জাতীয় কৃমিনাশক সপ্তাহ পালিত

আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা চল ছুটে যাই, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে কৃমির ঔষুধ খাই” -এ আহবানে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ (১৬ মে থেকে ২০ মে) পালনে জনসচেতনতা বাড়াতে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

জানা গেছে, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় তথা এ ভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জনগনকে সুরক্ষিত রাখতে এবারের জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ-২০২১ বিকল্প পদ্ধতিতে পালন করা হবে। এবার কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি) ও স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে ১০ টি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ বছর থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের ১৬ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় কৃমি নাশক ঔষধ( একটি করে মেবেন্ডাজল, ৫০০ মি.গ্রা.) খাওয়ানো হবে।

৫ বছর থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের ১৬ মে রবিবার থেকে ২০ মে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কৃমি নাশক ঔষুধ সেবনের জন্য জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা.অনুতোষ চাকমা বলেন, কৃমি প্রাণির দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি পরজীবি। কৃমি পুষ্টিহীন করে, শারীরিক ও মেধা বিকাশে ব্যাঘাত ঘটায়। তাই কৃমি নিয়ন্ত্রণে কিছু করনীয় বিষয় মেনে চলা জরুরি। কৃমি নিয়ন্ত্রণে প্রাথমিকভাবে করনীয় বিষয় গুলো হলো- প্রতি ৬ মাস পর পর পরিবারের সকলে একসঙ্গে কৃমি নাশক ঔষুধ সেবন করা, স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট ব্যবহার করা, টয়লেট থেকে ফিরে সাবান দিয়ে ভালো ভাবে হাত পরিষ্কার করা, নিয়মিত নখ কাটা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ভাবে খাবার গ্রহন করাসহ অধিকতর স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া একান্ত আবশ্যক।এবং নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ও অফিস চলাকালীন সময়ে ৫ বছর থেকে ১৬ বছর বয়সী সকল শিশু-কিশোরদের একটি করে কৃমি নাশক ঔষুধ (মেবেন্ডাজল ট্যাবলেট, ৫০০ মি.গ্রা) খাওয়ানো হবে। তবে শর্ত হলো- কৃমি নাশক ঔষুধ সেবন করতে আসা সকল শিশু-কিশোরদের ভরাপেট থাকতে হবে। ভরাপেট ছাড়া এ ঔষুধ না খাওয়া উত্তম বলে জানা গেছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password